লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল। ঠিক সেই আবহে প্রচারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর। বিজেপির অভিযোগ, তাদের দলে কর্মীদের মারধর করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, পালটা গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ তুলেছে ঘাসফুল শিবির। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: তৃণমূল–বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত ক্যানিং, লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ঝরল রক্ত
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতে। বিজেপির অভিযোগ, সেখানে তাদের দলের কর্মীদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর তাদের মারধর করা হয়। ঘটনায় ৩ জন বিজেপির কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে ছুটে যান বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার। তিনি আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর তাদের নিয়ে থানায় গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেন। এই মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
অন্যদিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পালটা বিজেপির বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, দলের প্রার্থীর হয়ে নেতা কর্মীরা সেখানে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন। এদিনও লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রচার করা হচ্ছিল। তার জন্য মহিলা কর্মীদের নিয়ে গ্রামে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচার মিছিল করা হচ্ছিল। সেই মিছিল ঘিরে অশান্তির সূত্রপাত। তৃণমূলের অভিযোগ, মহিলারা মিছিলের সময় জোর করে তাদের আবির মাখিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ তুলেছেন। এরপর স্থানীয়রাই তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে বিজেপি কর্মীদের মারধরের কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, এর আগের দিন তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল চন্দননগরের সরিষা পাড়া এলাকা। চুঁচুড়ার বিজেপি নেতা কৌশিক শিকারি ও কর্মী শুভঙ্কর দাস চন্দননগরে যান। তাঁরা কলুপুকুরের মারুতি সংঘের রামনবমী পুজোর ঠাকুর আনতে চন্দননগর লালবাগান এলাকায় গিয়েছিলেন। তবে দুজনে চুঁচুড়ার বাড়িতে ফেরার সময় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁদেরকে দাঁড় করায় এবং তাদের গাড়ির চাবি কেড়ে নেয়। বাধা দিতে গেলে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।