বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুদারের নির্বাচনী এলাকার মধ্যে পড়ে গঙ্গারামপুর। সেই গঙ্গারামপুরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কথায়, এই ভোট শুধু প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচিত করার ভোট নয়। এই ভোট 'প্রতিরোধের ভোট প্রতিশোধের ভোট।'
কেন তার কারণ হিসাবে অভিষেক বলেন, '২০১৪ সালে মোদী প্রধানমন্ত্রী হন। সেই বার বালুরঘাট আসনটি পেয়েছিল তৃণমূল। ২০১৯ সালে জয় পেলেন সুকান্ত মজুমদার। পরের দিন থেকে সব বন্ধ। যাদের জেতালেন, তারাই দিল্লিতে চিঠি লিখে আপনাদের টাকা বন্ধ করতে বলল। তাই এই ভোট প্রতিরোধ ও প্রতিশোধের ভোট। জামানত বাজেয়াপ্ত করার ভোট।’
আরও পড়ুন। NRC-তে কাটা গিয়েছে ৫ লাখ বাঙালি হিন্দুর নাম, স্বীকার করলেন অসমের হিমন্ত, বাংলায় সুবিধা হবে TMC-র?
শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি
বিজেপির দাবি দুর্নীতির জন্য টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এর আগে এই নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন অভিষেক। এদিন ফের সেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, 'আবাসের ১০ পয়সার শ্বেতপত্র প্রকাশ করলে আমি রাজনীতি করব না। যারা মোদীর গ্যারান্টির কথা বলছে, তারা আমার চ্যালেঞ্জ কেন গ্রহণ করছেন না? ইডি, সিবিআই, কমিশন সবই আপনাদের। এরা ১০ পয়সা বাংলার মানুষকে দেয়নি। বাংলার মানুষকে কী ভাবে ভাতে মারা যায় ভোটে হারার পরে সেটা করেছে। আপনারা ২০১৯ সালে এদের জেতানোর পরেও টাকা দেয়নি। তাই এদের শিকড় থেকে উপড়ে ফেলুন। এদের থেকে আপনারা কোনও আশা রাখবেন না। পাঁচ বছরে কী কাজ করেছে তার হিসাব চাইছি। যারা আমাদের মনের, মুখের ভাষা জানে না। বাংলা পড়তে জানে না। বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি জানে না, তাদের আবার মোদীজির গ্যারান্টি।’
আরও পড়ুন। ‘তৃণমূল কর্মীরা ভোট চাইতে লজ্জা পাচ্ছেন’ দলের বিধায়কের মন্তব্যে অস্বস্তিতে ঘাসফুল
মোদীর গ্যারান্টিকে কটাক্ষ
শুধু তাই নয় এদিন মোদীর গ্যারেন্টিকে সারদা চিট ফান্ডের সঙ্গে তুলনা করে তৃণমূল সেকেন্ড-ইন কমান্ড বলেন, 'গ্যারান্টি দেওয়ার যে কথা ওরা (বিজেপি) বলছে সেটা হল সারদা চিটফান্ড পার্ট ২। যাকে চোখে দেখবেন না তার গ্যারান্টি নেবেন না। গ্যারান্টি নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।'
সমর্থকদের অভিষেকের হোমটাস্ক
এদিন সমর্থকদের হোমটাস্কও দেন অভিষেক। তিনি বলেন, 'আপনারা বাড়ি গিয়ে ২০ জনের দায়িত্ব নিন। সেই ২০ জনকে গিয়ে বোঝাবেন, আমার চ্যালেঞ্জ এঁরা গ্রহণ করতে পারল না। যে আমার চ্যালেঞ্জ নিতে পারে না, তাঁদের গ্যারান্টি নেবেন?'