শনিবার খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকে ধান জমি থেকে উদ্ধার হয়েছে এক বিজেপি কর্মীর দেহ। গত এক মাস ধরে ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে দেওয়াল লিখন করছিলেন ওই কর্মী। সেইসময় বিজেপি কর্মীর ক্ষত-বিক্ষত দেহ এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। শাসক দলের বিরুদ্ধে তাঁরা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। ঘটনায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে ওই বিজেপি কর্মীর বাড়ি যান হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি মহিলাদের ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর নিদান দিয়েছেন। এদিকে, এই ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মী খুনের পরেও করা হয়নি FIR, পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতির
জানা গিয়েছে, ওই বিজেপি কর্মীর নাম শান্তনু ঘোড়ুই। ওই কেন্দ্রে লোকসভা ভোটের প্রার্থী ঘোষণা হতেই দেওয়া লিখনের কাজ করছিলেন শান্তনু। পরিবারের অভিযোগ, এরপর থেকে শাসক দলের লোকজন তাকে লাগাতার প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। তা সত্ত্বেও হুমকিকে অগ্রাহ্য করে তিনি দেওয়াল লিখন চালিয়ে যেতে থাকেন। এরপরেই তাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে রবিবার ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে পৌঁছয় পুলিশ। তবে দোষীদের শাস্তির দাবিতে পুলিশকে ঘিরে পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
তাঁদের বক্তব্য, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। এছাড়াও সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, এই দাবি নিয়ে আগামী মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, যতক্ষণ না দাবি মানা হবে, ততক্ষণ মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করতে দেওয়া হবে না।
এদিকে খবর পেয়ে মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। একইসঙ্গে পুলিশ এবং তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। সেখান থেকেই তিনি পুলিশকে রোখার জন্য মহিলাদের লাঠি ঝাঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার নিদান দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দলদাস পুলিশকে আটকাতে গেলে মা-বোনেরা লাঠি ঝাঁটা হাতে নিয়ে রুখে দাঁড়ান।’ একইসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের বড়-বড় তৃণমূল নেতাদের সিবিআই দিয়ে গ্রেফতার করানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। যদিও তৃণমূল এই খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।