১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় ডিএমকে শাসিত তামিলনাড়ুর সবকটি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। রাজ্যের বিজেপি সভাপতি কে আন্নামালাই অভিযোগ তুলেছেন কোয়েম্বাটুর কেন্দ্রে ১ লক্ষেরও বেশি ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, এই কেন্দ্র থেকে লড়ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই অবস্থায় তিনি কোয়েম্বাটুর কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ প্রথম দফায় 'বাম্পার' ভোটিং, ‘মোদী-মোদী’ বলে ভোট মানুষের, BJP-র গ্রাফ উঠছে- শাহ
তামিলনাড়ু বিজেপির প্রধান দাবি করেছেন, বিপুল সংখ্যক ভোটারের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। তাঁরা বলেছেন যে তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় নেই। তিনি বলেন, ‘যেসব জায়গায় বিপুল সংখ্যক ভোটারের নাম নেই, আমরা সেখানে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’ তবে জেলা নির্বাচন আধিকারিক ক্রান্তি কুমার পাতি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, চূড়ান্ত ভোটার তালিকাটি ২০২২ সালে আধিকারিকরা ঘরে ঘরে গিয়ে যাচাইয়ের ভিত্তিতে তৈরি করেছেন।
এমন ঘটনায় রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখতে পাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, বেছে বেছে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কাভুন্দম্পালিয়ামের বালান নগর, শিবা নগর এবং পূর্ব অশোক নগরের বহু ভোটারকে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে তিনি অভিযোগ তোলেন। ভোটারদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা ভোটার পরিচয়পত্র দেখালেও তাদের বলা হয়েছিল তালিকায় তাঁদের নাম নেই। এর পরেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। পরে আন্নামালাই বুথ পরিদর্শন করেন।
তিনি অভিযোগ তোলেন, ভোটার তালিকা তৈরি সুষ্ঠুভাবে হয়নি। কাভুন্দম্পালিয়ামের একটি বুথে মোট ১৩৫০ জন ভোটারের মধ্যে ৮৩০ জনের নাম তালিকা থেকে বাদ ছিল। সেক্ষেত্রে ওই বুথ থেকে ৭০ শতাংশ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয় বলে তাঁর অভিযোগ।
তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এক একটি বুথ থেকে যদি ৬০ শতাংশ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয় তাহলে কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে? আন্নামালাই অভিযোগ করেছেন, সাধারণত অনুপস্থিতি, জায়গা বদলানো এবং মৃত্যুর ভিত্তিতে ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু, জীবিত মানুষের নামও বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বুথে গড়ে ২০টি নাম মুছে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তামিলনাড়ুর বিজেপি প্রধান। এই ঘটনায় তিনি জেলা নির্বাচন রিটার্নিং অফিসার এবং জেলা নির্বাচন পর্যবেক্ষকের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, শুক্রবার তামিলনাড়ুর ৩৯টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। রাজ্যে ৬২.১৯ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ভোটের জন্য ১৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং ১.৩ লক্ষ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়াও, ৩,৩২,২৩৩ জন ভোট কর্মী নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন।