খোদ তৃণমূল নেত্রী কোচবিহারের সভা থেকে একটি আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। তবে দ্রুত তিনি শব্দটি প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু তৃণমূলের চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার হুগলির বিজেপি প্রার্থী নিয়ে যে শব্দ ব্যবহার করেছেন তা কোনও নারী সম্পর্কে, কোনও প্রার্থী সম্পর্কে, কোনও সাংসদ সম্পর্কে বলা যায় কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ভিডিয়ো সামনে এনেছেন। তবে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
শুভেন্দু লিখেছেন, সন্দেশখালি পথ দেখিয়েছে। এবার তৃণমূলের নেতারা সরাসরি তা প্রকাশ্যে বলে ফেলছেন। তৃণমূলের নেতারা সাধারণত নারীদের সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেন। সেটাই করা হয়েছে এখানে। তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বিজেপি এমপি লকেট চট্টোপাধ্য়ায় সম্পর্কে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেছেন।
বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর একটি পোস্টকে শেয়ার করেছেন শুভেন্দু। সেখানে দেখা যাচ্ছে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন অসিত মজুমদার। সেই সময় তিনি বলেন, ওকে মমতা ব্যানার্জির চেয়ারটা নিতে বলুন। বিজেপিতে আছে কেন? তৃণমূলে জয়েন করুন। আর দলের দায়িত্ব নিতে বলুন। আছে বিজেপিতে আর ঠিকা নিয়েছে তৃণমূলের। তার মানে বুঝতে পারছেন তো দুনম্বরি***। …….তৃণমূলের সঙ্গেও আছে। আর বিজেপির সঙ্গেও আছে….তবে এই ভিডিয়োতে তিনি কোথাও লকেটের নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু বিজেপির দাবি তিনি লকেট সম্পর্কেই এই সব কথা বলেছেন।
এদিকে একজন মহিলা সাংসদ সম্পর্কে এই ধরনের শব্দ ব্যবহার একজন বিধায়কের কতটা শোভন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
সম্প্রতি লকেটের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ করেছিলেন অসিত মজুমদার। বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ তুলে এবং পদক্ষেপ না নেওয়ায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে গত ২৯ মার্চ ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি। হুগলির বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই বিক্ষোভে দেখা যায় ব্যান্ডেলের সঞ্জয় পাশোয়ান নামে এক তথাকথিত দুষ্কৃতীর মাকে। এই ছবিটি সংগ্রহ করেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদার। আর তারপরই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারকে ইমেল করে নালিশ জানিয়েছেন অসিত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।
এনিয়ে অসিত মজুমদার বলেছিলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই দুষ্কৃতীরা ব্যান্ডেলে দাপট দেখিয়েছিল। দুষ্কৃতীদের অত্যাচারে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা বন্ধ করেছিল। সেই দুষ্কৃতীদের ইন্ধন দেওয়ার জন্য লকেট চট্টোপাধ্যায় ব্যান্ডেল ফাঁড়িতে স্মারকলিপি দেয়। ব্যান্ডেলের সব থেকে বড় দুষ্কৃতীর মাকে নিয়ে। গুন্ডা মস্তানদের আমদানি করে ফাঁড়িতে যেদিন বিক্ষোভ হয়েছে তার দু’দিনের মধ্যে একজন ব্যবসায়ী আক্রান্ত হন, অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে।
এবার সেই লকেট সম্পর্কেই আপত্তিকর শব্দ ব্যবহারের অভিযোগ অসিতের বিরুদ্ধে।