৭০-৭৫ বছর বয়স হয়ে গেলে প্রত্যক্ষ ভাবে কাউকে রাজনীতিতে রাখতে চায় না বিজেপি। কর্ণাটকে বিএস ইয়েদুরাপ্পা বা পঞ্জাবে অমরিন্দর সিংরা ব্যতিক্রম। তবে বিএস ইয়েদুরাপ্পাকেও শেষ পর্যন্ত 'অবসরে' পাঠিয়েছিল বিজেপি। এরপরে কর্ণাটক হাতছাড়াও হয়েছে। এদিকে প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বয়স ৭৩ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে। এই আবহে ২০২৪ সালে ভোটে জিতলেও কি তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকবেন? বা মাঝপথে কি তিনি অন্য কারও হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন? এই প্রশ্ন উঁকি মারতে শুরু করেছে অনেকের মনেই। এই প্রশ্নের স্পষ্ট ভাষায় জবাব দিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। (আরও পড়ুন: IMPS-এ ৮২০ কোটি টাকার 'সন্দেহজনক' লেনদেন কলকাতার ব্যাঙ্কে, তদন্তে CBI)
আরও পড়ুন: মহাশিবরাত্রির দিনে ছুটি দেশের বহু জায়গায়, তাহলে আজ কি বাংলায় বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক?
শাহ দাবি করলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী ৮৩ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে পারেন। অর্থাৎ, আরও ১০ বছর বা দুই মেয়াদ বিজেপির 'মুখ' থাকতে পারেন মোদী। ইতিমধ্যেই দু'বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্যে ভোটময়দানে নেমেছেন তিনি। ২০২৪ সালে সাফল্য পেলে ২০২৯ সালের নির্বাচনেও মোদীই বিজেপির 'মুখ' থাকবেন বলে ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন শাহ। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহ বলেন, 'আমাদের দেশের গণতন্ত্র এখন কাজের ওপর নির্ভরশীল। মানুষ কাজ দেখে রাজনৈতিক দলগুলিকে সাফল্য এনে দেয়। এই আবহে কাজের বিচারে আগামী ১০ বছর বিজেপি দেশে ক্ষমতায় থাকবে। এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন নরেন্দ্র মোদী।' (আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা মোদীর, আরও কমল রান্নার গ্যাসের দাম, এবার কলকাতায় সিলিন্ডারের রেট কত?)
আরও পড়ুন: কম দামে গ্যাস দেবে কেন্দ্র, এরই মাঝে দোলে ফ্রি LPG সিলিন্ডার 'উপহার' রাজ্যের
দেশে আগামী এক দশকের রাজনৈতিক পূর্বাভাস জানতে চাওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর থেকে। এর জবাবে শাহ বলেন, 'আগে জাত-পাত, ধর্মের তুষ্টিকরণের ওপর নির্ভর করে ভোট হত। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই সমীকরণ বদলে দিয়েছেন। এখন কাজ এবং সাফল্যের ওপর নির্ভর করে ভোট দেয় মানুষ। মানুষ যোগ্যতার বিচারে সুযোগ দেয় বর্তমানে। আমরা যদি ভালো কাজ থাকি তাহলেই আমরা ক্ষমতায় টিকে থাকব। আমরা যদি নিজেদের ভুল শুধরে নিতে না পারি, তা হলে আমরা হারের সম্মুখীন হব। তবে আমি এটা বলে দিতে পারি যে, আগামী ১০ বছর একমাত্র মোদীই প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। ২০৪৭ সালে ভারত কোথায় পৌঁছবে তার পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদী। বিকশিত ভারতের স্বপ্ন দেখিয়েছেন তিনি।' এদিকে এদিনও শাহ সিএএ নিয়ে বড় দাবি করেন। তাঁর কথায়, 'লোকসভা নির্বাচনের আগে খুব শীঘ্রই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ কার্যকর করা হবে দেশে।'