মণিপুরের অন্তত ৪৭টি বুথে ফের ভোট চায় কংগ্রেস। এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে জোরালো আওয়াজ তুলেছে তারা। ভোটপর্বে ভয়াবহ হিংসার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। এর জেরে ফের ভোটের দাবি তুলেছেন তারা।
কংগ্রেস দলের তরফ থেকে শুক্রবার যুদ্ধবিধ্বস্ত মণিপুরের ৪৭টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে। যেখানে ইনার মণিপুর আসনের সমস্ত বুথে এবং রাজ্যের দুটি সংসদীয় আসন আউটার মণিপুর আসনের কয়েকটি বুথে শুক্রবার ভোটের প্রথম দফা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কংগ্রেসের দাবি একাধিক ক্ষেত্রে ভোট সংক্রান্ত হিংসার ঘটনা হয়েছে। যার জেরে ফের ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছে তারা।
আউটার মণিপুরের বাকি অঞ্চলগুলিতে দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে ২৬ এপ্রিল।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কেইশাম মেঘচন্দ্র সিং শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ভারতের নির্বাচন কমিশন, মণিপুরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারদের কাছে অনিয়ম ও গুরুতর কারচুপির বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা ইনার মণিপুরের ৩৬টি এবং আউটার মণিপুরের ১১টি বুথে পুনর্নির্বাচনের জন্য অভিযোগ লিখেছি।
থৌবাল জেলার ওয়াংখেম বিধানসভা কেন্দ্রের বর্তমান কংগ্রেস বিধায়ক মেঘচন্দ্র আরও বলেন, এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রের ভিতরে বসতে পারবেন না এবং কংগ্রেস দলের সমর্থক ভোটাররা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে পারবেন না। এরকমই নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ইনার মণিপুরের ৩৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে আন্দ্রো ও ইয়াইসকুল বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে, কনথৌজাম বিধানসভা কেন্দ্রে দুটি করে, হেইনগাং, খুরাই, ওইনাম এবং মইরাং বিধানসভা কেন্দ্রে তিনটি করে, ক্ষেত্রীগাও বিধানসভা কেন্দ্রে চারটি, থংজু ও সেকমাই বিধানসভা কেন্দ্রে পাঁচটি করে, কেইরাও বিধানসভা কেন্দ্রে ছয়টি বুথ রয়েছে। আউটার মণিপুরের ১১ টি পোলিং স্টেশন সুগনু বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে।
সিপিআই(এম) সম্পাদক ক্ষেত্রময়ুম সান্তা দাবি করেছেন যে এই নির্বাচন গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অন্তর্ঘাত। এই ভোটপর্বের মাধ্যমে ভোটারদের অধিকার সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। বিরোধী দল ইন্ডিয়া ব্লককে সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শাসক ফ্রন্টের এই ধরনের আচরণ দুর্ভাগ্যজনক।