কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট চাইল স্বারাষ্ট্রমন্ত্রক। আগামী শুক্রবার থেকে প্রতিদিন রিপোর্ট পাঠাতে হবে রাজ্যের বাহিনী সমন্বয়কারী অফিসারকে। রাজ্যের কেন্দ্রীয় বাহিনী সঠিক ভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা তা নজর রাখতে এই পদক্ষেপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। কিন্তু মন্ত্রক এই ভাবে বাহিনীর উপর নজর রাখতে পারে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদল।
সিআরপিএফ-এর পাঠানো নির্দেশে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর অবস্থান ও গতিবিধি নিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট ইমেল করতে হবে। এছাড়া তার হার্ডকপিও পাঠাতে হবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে।
সিআরপিএফের দিল্লি দফতর থেকে বলা হয়েছে, কোথায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে তা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও রাজ্য পুলিশের ডিজি সঙ্গে আলোচনা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতিনিধি সিদ্ধান্ত নেবেন। নির্দিষ্ট জায়গায় বাহিনী যাতে সময় মতো পৌঁছতে পারে সে জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে।
আরও পড়ুন। অভিজিৎকে হারাতে পারলে মমতার মতো ইতিহাস গড়বেন…' টুইট শেয়ার দেবাংশুর, নেটপাড়া বলছে 'খোকা'
এই ভাবে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধির উপর নজর রাখতে পারে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। যদিও সিআরপিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাহিনী কোথায় যাবে তার সবটাই নির্ধারণ করবে কমিশন। তার শুধু তথ্যের জন্য প্রতিদিনের রিপোর্ট সংগ্রহ করবে।
আরও পড়ুন। কেন বর্ধমান পূর্ব থেকে অসীম সরকারকে প্রার্থী করল বিজেপি? মতুয়া অঙ্ক কি মিলবে?
ইতিমধ্যেই রাজ্যে দু’দফায় মোট ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। এর মধ্যে ১ মার্চ ১০০ কোম্পানি এসেছে। এছাড়া ৭ মার্চ দ্বিতীয় দফায় ৫০ কোম্পানি বাহিনী এসেছে। সেই বাহিনীর ইতিমধ্যেই পোস্টিং হয়ে গিয়েছে। তারা মানুষের মনোবল বাড়াতে বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চও করছে।
কমিশন জানিয়েছে, আরও ২৭ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে রাজ্যে। এপ্রিল শুরুতেই বাহিনী চলে আসবে। তাদের কোথায় কোথায় মোতায়েন করা হবে তা রাজ্যকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন। 'প্রথম বলে ছক্কা মারব!' বর্ধমানে পা রেখেই বললেন দিলীপ ঘোষ