এলাকা বদল হলেও লড়াই থেকে সরছেন না দিলীপ ঘোষ। নাম ঘোষণার পর দিনই মাঠে নেমে পড়লেন। সোমবার শক্তিগড়ে পা রেখেই জানিয়ে দিলেন, প্রথম বলেই তিনি ছক্কা হাঁকাবেন।
রবিবার রাতে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে দিলীপ ঘোষের নাম ঘোষণা হতেই বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস শুরু হয়ে যায়। এদিন বেলা ১২ টায় তিনি পৌঁছান শক্তিগর আমড়া এলাকায়। তাঁকে স্বাগত জানাতে পূর্ব বর্ধমান জেলার একঝাঁক বিজেপি নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা হাজির হন। ফুলের মালা ও পুষ্পস্তবক দিয়ে প্রার্থীকে অভ্যর্থনা জানান বিজেপি নেতৃত্বরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে এই আসনে প্রার্থী ছিলেন সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া। প্রায় আড়াই হাজার ভোটে তৃণমূল প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতাকে পরাজিত করেন তিনি। বর্ধমান-দুর্গাপুরের আসন বিজেপির ঝুলিতে আসে। সে দিকে তাকিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির দাবি, ওই তিনি নিশ্চিত ভাবে জিতবেন।
তাঁর লোকসভা কেন্দ্র বদল প্রসঙ্গে কেউ কেউ বলছেন দিলীপ ঘোষকে ‘অপমান’ করা হল। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অপমান কি সম্মান জানি না। যার দম আছে সে লড়ে জিতে নেবে।’
ওই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। তাঁর প্রসঙ্গে রবিবারই এক সংবাদমাধ্যমকে বলে, ‘উনি যে ক্রিকেটার ছিলেন সেটা কজন মনে রেখেছে।’ এদিন তাঁর জয়ের প্রসঙ্গে ক্রিকেটের শব্দেই জবাব দিয়ে বলেন, ‘বর্ধমানের পিচ আমার। আমিই ব্যাটসম্যান। প্রথম বলে ছক্কা আমিই মারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্ধমানের মাঠঘাট সবই চেনা। এখানকার মানুষ আমায় ভালবাসে সুতরাং বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা বিজেপির হাতে মুঠোয়।’
এদিন শক্তিগড় থেকে বাইক মিছিল করে বিজেপি জেলা কার্যালয়ে তিনি। সেখানে তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়। সোমবার তাঁর একগুচ্ছে কর্মসূচি রয়েছে।
দলের প্রথম প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় জল্পনা শুরু হয়েছে। এবার কী তাঁর নান কাটা যেতে পারে। কারণ, তিনি বিভিন্ন সময় রাজ্য নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন। তার পর একটা সময় হাওয়া ওঠে কেন্দ্র বদল করা হতে পারে দিলীপ ঘোষের। কিন্তু তিনি এ সব নিয়ে খুব একটা বিচলিত ছিলেন না। তবে ঠারেঠোর তিনি জানিয়েছেন, তিনি মেদিনীপুর থেকে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন।
তবে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, যেখানে দল লড়তে বলবে সেখানেই তিনি দাঁড়াবেন। দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকায় তার নাম থাকলেও তাঁকে দাঁড় করানো হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে। সোমবার দলের ‘একনিষ্ট’ কর্মীর মতো কোমর বেঁধে ভোট ময়দানে নেমে পড়লেন।