জল্পনাটা ছিলই। আর রবিবার রাতে যখন বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হল তখন দেখা গেল জল্পনা সত্যি হয়েছে। দিলীপ ঘোষকে আর মেদিনীপুর আসন থেকে দাঁড়ানোর ছাড়পত্র দিল না দল।
মেদিনীপুর থেকে জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে অগ্নিমিত্রা পালকে প্রার্থী করল কেন্দ্রীয় বিজেপি। সেই সঙ্গেই এবার দিলীপ ঘোষের কেন্দ্র বদলে গেল। তাঁকে প্রার্থী করা হল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে।
এবার প্রশ্ন কেন দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হল মেদিনীপুর থেকে? আর সেই দিলীপ ঘোষের রেখে যাওয়া জমিতে চাষ করতে নামবেন অগ্নিমিত্রা পাল।
দিলীপ ঘোষ বলেন, আমাকে বলা হয়েছিল। আমি বলেছিলাম যেখানে কাজ করেছি সেখানে লড়াই করতে চাই। তারপর পার্টি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেনে নিচ্ছি। ১৮টা জিতে দেখিয়ে দিয়েছিলাম আমরা পারি। কঠিন নয়। তবে চ্যালেঞ্জটা আছে। কীর্তি আজাদকে কে জানেন? গোটা বাংলাকে আমি চিনি। ওখানে একসময় সাইকেল নিয়ে ঘুরেছি। কোনও মান অভিমান নয়। কাল সকালেই যাচ্ছি ওখানে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দলের মধ্য়ে ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। ২০১৯ সালে দলের অন্দরে যে দাপট ছিল দিলীপের সেই দাপট আজ অস্তমিত। তবে একটা সময় কুকথায় বার বার নাম জড়়িয়েছিল দিলীপের। রাজ্যসভাপতির পদও যায় তাঁর। আর এবার নিজের গড়ে লড়ার সুযোগটাও গেল। কার্যত অভিনেত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার সঙ্গে লড়ার জন্য বেছে নেওয়া হল অগ্নিমিত্রাকে।
এদিকে দিলীপ ঘোষ আগেই জানিয়েছিলেন, দল যা বলবে সেটা তো মানতেই হবে। তবে মেদিনীপুরের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক।এমনকী তিনি না থাকলে মেদিনীপুরে অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কাই করেছিলেন তিনি।
এদিকে দিলীপ ঘোষের গড় থেকেই সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। সেই কেন্দ্রে প্রার্থী হলেন অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি এবিপি আনন্দে জানিয়েছেন, এটাই বিজেপি। কেউ একই আসনে থাকবেন এমনটা হয় না। আমার রাজনীতিতে আসা দিলীপ ঘোষের হাত ধরে। আমার কাছে এটা বিরাট পাওনা। অমিত শাহজী ফোন করেছিলেন। তিনি আমায় বলেছিলেন ওখান থেকে দাঁড়ানোর জন্য।
নাড্ডাজী ফোন করেছিলেন। শীর্ষ নেতৃত্ব এই সুযোগটা দিচ্ছেন। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁর আশীর্বাদ চেয়েছি। দিলীপদা প্রচুর কাজ করেছেন। তিনি যেভাবে অলরেডি সাজিয়ে রেখেছেন সেক্ষেত্র আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ তাঁর প্রতি। জুন মালিয়া, তৃণমূল প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তবে চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে। এক সেন্টিমিটার জমি বিনা যুদ্ধে ছাড়ব না।