কদিন ধরে লাঠি নিয়ে প্রাতর্ভ্রমণে বেরোচ্ছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। এবার তাঁকে ত্রিশূল হাতে ভোট প্রচারে দেখা গেল। বিজেপি প্রার্থীর রূপ দেখে ক্ষুব্ধ তৃণমূল। তারা জানিয়েছে, অবিলম্বে কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে। অন্য দিকে, প্রার্থীর দাবি তিনি আত্মরক্ষা নয়, দেশরক্ষায় ত্রিশূল হাতে নিয়েছেন।
নববর্ষের দিন সকালে প্রাতর্ভ্রমণের পর একটি শিবমন্দিরে পুজো দিতে যান দিলীপ ঘোষ। মিছিল করে তিনি মন্দিরে যান। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি ত্রিশূল নিয়ে ছবি তোলেন। তাঁর এই ছবি ছড়িয়ে পড়তে শুরু হয় বিতর্ক। এমনিতে নানা মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেন নিত্যদিন। তবে নববর্ষে কথা নয় ত্রিশূল হাতে নয়া বিতর্ক তৈরি করলেন তিনি।
কেন হঠাৎ ত্রিশূল হাতে ছবি তুললেন তিনি? এর জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'যখন বিশ্বে অশুভ শক্তি আর পাপের প্রতাপ বেড়েছে, বাবা ত্রিশূল হাতে নিয়েছেন। তাণ্ডব নৃত্য করেছেন। আমার কুলদেবতা শিব। তাঁরই প্রেরণায় আমরা স্বচ্ছ ভারত এবং স্বচ্ছ রাজনীতি করতে চাই। ত্রিশূল তারই প্রতীক।' তিনি আরও বলেন, 'আত্মরক্ষা নয়, দেশরক্ষা। সব রক্ষা হয়ে যাবে।'
তৃণমূলের কটাক্ষ
এই ছবি দেখে তৃণমূল মন্তব্য, সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করতে চাইছেন দিলীপ ঘোষ। দলের মুখপাত্র প্রসেজিৎ দাস বলেন, 'দিলীপ ঘোষ কখনও লাঠি, কখনও ত্রিশূল নিয়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাব।'
তবে রাজ্যের শাসকদলের এই মন্তব্যকে খুব একটা পাত্তা দিচ্ছেন না বিজেপি প্রার্থী। তিনি এক বিজেপি সমর্থককে দেখিয়ে বলেন, '২০২১ ভোটের পর থেকে ওর দোকানে তালা মেরে দিয়েছে টিএমসি। এখনও খোলেনি। টিএমসির অফিসগুলোতে যখন তালা পড়বে, তখন এগুলো খুলবে।'
আরও পড়ুন। যুবসমাজ থেকে সত্তরোর্ধ্বদের জন্য বড় বড় সব প্রতিশ্রুতি, কী কী সংকল্প করল BJP?
শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে সকাল থেকে প্রচার শুরু করে দেন তিনি। সেখান থেকে যান বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে। কথা বলেন এলাকার মানুষের সঙ্গে। তার পর স্থানীয় একটি বাজারে যান, মাছের দরদাম করেন। আলমগঞ্জ মোড় পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় 'চায়ে পে চর্চা' করেন।
তৃণমূল প্রার্থী প্রসঙ্গে মন্তব্য
বর্ধমান-দূর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃনমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'লোকে ওনাকে দেখছে মজা পাচ্ছে। একবার ঘোড়ায় চরছেন আবার অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে রাস্তায় হাটছেন, এটা কী ধরনের গণতন্ত্র? উনি দাড়িয়েছেন না ওনার স্ত্রী দাড়িয়েছেন? ভোটে উনি যত ড্রামা করছেন। তারপর নাচানাচি করে,যেমন রাস্তায় বাঁদর খেলা দেখায় না। নেচে লোক জোগাড় করার চেষ্টা করছেন।