অক্ষিতা কুমারী
লোকসভা ভোটের ইস্তেহার প্রকাশ করেছে বিজেপি। আর সেই ইস্তেহারকে চূড়ান্ত কটাক্ষ করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিজেপি ওই ইস্তেহারকে মোদী কি গ্যারান্টি অথবা সঙ্কল্পপত্র বলে উল্লেখ করেছে। আর কংগ্রেসের দাবি, এটাকে তো মাফিনামা বলে ডাকা উচিত ছিল। সেই সঙ্গেই কংগ্রেসের দাবি, এবার দেশের শাসকদলের উচিত দলিত, আদিবাসী, কৃষক, অগ্নিবীর, বেকার যুবক-যুবতী, অঙ্কিতা ভান্ডারির পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
কংগ্রেস নেতা পবন খেরা জানিয়েছেন, যদি প্রধানমন্ত্রীর একবার গরীব মানুষের থালার দিকে দেখতেন…এটাকে মাফিনামা বলা যেতে পারত।
সেই সঙ্গেই কংগ্রেসের দাবি ২০১৪ সালের ইস্তেহারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি সেটাই তো পূরণ করতে পারেনি।কালো টাকা আনার জন্য স্পেশাল টাস্ক ফোর্স চালু করার কথা বলেছিল সেটা করেনি। উত্তর পূর্বে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির কথা বলেছিল। সেটা হল না কেন? ১০০ স্মার্ট সিটি আর ১০০টি জেলা থেকে দারিদ্র দূর করার কথা বলেছিল। সেটা হল না কেন?
কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের ইনচার্জ অমিতাভ দুবে জানিয়েছেন, বিজেপি ২০২২ সালের মধ্য়ে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা বলেছিল। কিন্তু সেটা হল না কেন? তাদের লোনটা তো দ্বিগুণ হয়ে গেল। পিএম কিষানের উপভোক্তার সংখ্যা ২০১৯ সালে ছিল ১২ কোটি। আর ২০২৪ সালে সেটাই হয়ে গেল ৪ কোটি। সেই সঙ্গে জিরো শতাংশে কৃষকদের স্বল্পমেয়াদি লোন দেওয়ার ব্যাপারটা পুরো ভাঁওতা ছিল।
তিনি বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেটাও কিছু হল না। ২০২৪ সালের মধ্য়ে ২০০ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নবোদয় বিদ্যালয় খোলার কাজও হল না। গত ৫ বছরে মাত্র ৫৬টি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় খোলা হয়েছে।
আর কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বলেন, ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে ইস্তেহার প্রকাশ করল। কিন্তু সাংবাদিকদের কোনও কথার উত্তর দিল না। তিনি বলেন, বিজেপি বলছে যে তারা ২৫ কোটি মানুষকে দারিদ্রতা থেকে মুক্ত করেছে। কিন্তু এটাও পুরো ভাঁওতা। নীতি আয়োগের রিপোর্ট বলছে যে রাজ্যের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ দৈনিক ৪৬ টাকায় দিন চালায়। এই দেশে প্রতি ঘণ্টায় ২জন কৃষক আর ২জন যুবক লোন আর বেকারত্বের জ্বালায় আত্মহত্যা করে।
এদিকে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন সরকার দরিদ্র, যুবক, মহিলা ও কৃষকদের সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি বিকশিত ভারত বা উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণের জন্য তার সংস্কার, সম্পাদন ও রূপান্তরের এজেন্ডা অনুসরণ অব্যাহত রাখবে, রবিবার দলের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন।