নিবার্চন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১০,১৯,৪৭০। সেই তুলনায় পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১০,০০,২৮৬। স্বাভাবিক ভাবে মহিলা ভোটারদের মন জয় করাটাই এখন তিন প্রার্থীর নজর।
ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডারকে সমালোচনার চোখে দেখলেও ভোট প্রচারে তা নিয়ে সুর নরম সিপিএমের। যাদবপুরের প্রার্থী সৃজন ভট্টাাচার্য তো প্রচারে গিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে দ্বিগুণ হবে লক্ষ্মীর ভান্ডার। অর্থাৎ রাজ্যে সিপিএম ‘সুযোগ পেলে’ লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা এক হাজার থেকে তা দুহাজার হবে। অন্য দিকে বিজেপি প্রার্থী অর্নিবাণ গঙ্গোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার রেখেই নারী ক্ষমতায়নের কথাই প্রচারে বলছেন।
যাদবপুর কেন্দ্র এবার ত্রিমুখী লড়াই। তৃণমূল, সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে। প্রচারেও সেই টক্কর চলছে জোর কদমে। লোকসভা ভোট হলেও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পগুলোকে প্রচারে মানুষের কাছে তুলে ধরছেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। তবে প্রধান্য থাকছে সেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে। তাঁর কথায়,'সিপিএম, বিজেপিও তো লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্বাস্থ্যসাথী পাচ্ছে। তৃণমূল তো পাচ্ছেই।'
আরও পড়ুন। কোচবিহার-রায়গঞ্জ নিয়ে স্বপ্ন বুনছে তৃণমূল, সংখ্য়ালঘু ভোট ঘুরিয়ে দিতে পারে খেলা!
এরই মধ্যে প্রচারে বেরিয়ে শনিবার লক্ষ্মীর ভান্ডারের অর্থ দ্বিগুণ করা কথা বলেছেন সিপিএম প্রার্থী সৃজন। কেন তার যুক্তিও দিয়েছেন নিজে।
তাঁর যুক্তি, ‘আমাদের ট্যাক্সের টাকা তৃণমূল যেহেতু সরকারে আছে, সেই টাকা নিচ্ছে, তার একটা অংশ মানুষকে ফেরত দিচ্ছে। আরেকটা বড় অংশ খাটের তলায় ঢুকে পড়ছে। পার্থ, মানিক অনুব্রতরা আমাদের দলে নেই। আমরা যদি কোনওদিন সুযোগ পাই, মানুষের টাকা যতটা কাজে লাগানোর পুরোটা কাজে লাগাব, তাতে আজকে যিনি হাজার টাকা পাচ্ছেন, তিনি আগামী দিনে ২০০০ টাকা পাবেন হতেই পারে।’
অন্য দিকে বিজেপি প্রার্থী অর্নিবান বলছেন, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থাকুক। কিন্তু আমরা চাই মহিলারা স্বনির্ভর হয়ে উঠুক। ’ তাঁর দাবি গত ছ’বছরে নারী ক্ষমতায়নে বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গকে মোদী সরকার ৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র। তিনি বলেন, ‘মোদিজি চান মহিলারা আত্মনির্ভর হয়ে উঠুক। এই জন্যই তো লখাপতি দিদি প্রকল্প আনা হচ্ছে। যেখানে বলা হচ্ছে প্রত্যেক মহিলার নিজস্ব রোজগার করা পুঁজি এক লক্ষ টাকা থাকবে।’ তাঁর কথায়, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার থাকুক কিন্তু তাঁকে যেন কাটমানি দিতে না হয়। এখনও তো হাজার টাকা পেতে গেলে একটা পার্সেটেজ দিতে হয়।’