সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে অভিনেত্রী। অন্যদিকে তৃণমূলের নেত্রী। এবার লোকসভা ভোটে টিকিট পাননি তিনি। এরপর অভিমানে কি দল ছেড়ে দেবেন? এবার কি তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন? এনিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে বাংলার ভোট বাজারে। তবে সায়ন্তিকা নিজে কী বলছেন?
এবিপি আনন্দে সায়ন্তিকা জানিয়েছেন, দল কেন টিকিট দেয়নি সেটা দল বলতে পারবে। তবে হেরে যাওয়ার পরেও দলে মিশে কাজটা করেছি। তিন বছর ধরে ওখানে( বাঁকুড়া) পড়েছিলাম। মাটি কামড়ে পড়েছিলাম। এমনও অনেক সময় হয়েছে যে সুটিংয়ের কাজ বদলে, দিন পরিবর্তন করে আমি ওখানে অগ্রাধিকার দিয়েছি। মাটি কামড়ে পড়েছিলাম। ওখানে ভালো রেজাল্ট হয়েছিল। পঞ্চায়েত ভোটেও ভালো ফলাফল হয়েছিল। কেন দল টিকিট দেয়নি সেটা দল বলতে পারবে। আমি বলতে পারব না।
তিনি কি জানতেন যে তিনি টিকিট পাচ্ছেন না? ব্রিগেডের সমাবেশেও গিয়েছিলেন তিনি। পেছনের সারিতে গিয়ে বসেছিলেন। সায়ন্তিকা বলেন, আমি জানতাম না। তবে আঁচ করতে পারছিলাম। জানলে দলের সঙ্গে তো আমার যোগাযোগ রয়েছেই। যদি আলোচনার মাধ্যমে আমি জিনিসটা জানতে পারলে আমার জন্য ভালো হত। আমি সেভাবে এগোতাম।
রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সহ অন্য়ান্য়দের টিকিট পাওয়া আবার নুসরত, মিমিদের টিকিট না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কারোর সঙ্গে কম্পিটিশনে নামিনি। কে টিকিট পেল অথবা পেলেন না তা নিয়ে আমার কম্পিটিশন নয়।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, বিজেপি যোগাযোগ করেছিল। জবাব পায়নি। কার্যত জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন সায়ন্তিকা। সেই সঙ্গেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এখনও বহু আসনে বিজেপি প্রার্থী দেয়নি। তবে কি নিজের দলকে চাপে রেখে তিনি বিজেপির সঙ্গেও যোগাযোগের রাস্তা খোলা রাখছেন?
এদিকে সোশ্য়াল মিডিয়ায় সায়ন্তিকার একটা ইস্তফাপত্র ঘুরছে। এনিয়ে অভিনেত্রী অবশ্য় জানিয়েছেন, ওখানে কারোর সই নেই।
তবে মোটের উপর দুটি বিষয় পরিস্কার। একটি হল বিধানসভায় হেরে যাওয়ার পর থেকে তিনি তিন বছর বাঁকুড়ায় মাটি কামড়ে পড়েছিলেন। তার একটা মাত্র লক্ষ্য হল লোকসভায় টিকিট পাওয়া। আর দ্বিতীয় বিষয়টি হল তিনি টিকিট না পাওয়ার পর দলের প্রতি যথেষ্ট অভিমানী। তবে তিনি বিজেপিতে যাবেন কি না সেটা এখনও পরিস্কার নয়। তবে বিজেপি যে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে বাংলার রাজনীতিতে সায়ন্তিকা পর্ব এবার জমজমাট।