আজ, বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভোটপ্রচারে বেরিয়ে বিড়ম্বনার পড়লেন কাঞ্চন মল্লিক। প্রচার শেষ হওয়ার আগে মাঝ রাস্তায় উত্তরপাড়ার বিধায়ককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ কোন্নগরে দেখা যায় এই ছবি। কল্যাণবাবুর নির্দেশে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বাধ্য হন কাঞ্চন। সাংসদের এই আচরণে তিনি মর্মাহত বলে জানান কাঞ্চন মল্লিক। এই ঘটনা নিয়ে যখন শোরগোল পড়ে যায় তখন কল্যাণ বলেন, ‘আমি তো তোমায় আগের দিনই বললাম গ্রামে এসো না। রিয়্যাক্ট করছেন মহিলারা।’ তবে কেমন রিয়্যাক্ট করছেন সেটা খোলসা করেননি কল্যাণ।
এদিকে আজ হুড খোলা গাড়িতে প্রচার করছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়িতে কল্যাণবাবুর পাশেই ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। গাড়ি কিছুদূর এগোতেই কাঞ্চনকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলেন কল্যাণ। গাড়িতেই কাঞ্চলের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁদের মধ্যে। এরপর গাড়ি থেকে নেমে যান কাঞ্চন। তবে কাঞ্চনের কথায়, ‘আমি বুঝতে পারিনি। গিয়েছিলাম দলীয় প্রচারে। আগেও কল্যাণবাবুর সঙ্গে প্রচারে গিয়েছি। আজ হঠাৎ করেই উনি বললেন, ‘যেও না, গ্রামের মহিলারা রিঅ্যাক্ট করছে। সরি টু সে, আমায় তো ভোটটা করতে হবে। আমিও চলে এসেছি। জানি না তিনি কেন চাননি, হয়তো তাঁর প্রচারের আলাদা কোনও স্ট্র্যাটেজি আছে।’
আরও পড়ুন: অগ্নিদগ্ধ হয়ে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, পাটনার হোটেলে বিধ্বংসী আগুনের জের
অন্যদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আগেও ওনাকে নিয়ে আমি প্রচারে বেরিয়েছিলাম। ওনাকে দেখলে গ্রামের মহিলারা ভীষণ রিয়্যাক্ট করছেন। আমি ওনাকে আগেই বলেছিলাম, গ্রামে এসো না। আর শুধু আমার সঙ্গেই কেন প্রচারে থাকছে? অন্য গুলিতেও তো ওর প্রচার করা উচিত। তখন তো ও থাকছে না। আমাকে নির্বাচন করতে হচ্ছে। মানুষের মনকে তো আমায় বুঝতে হবে।’ আর এই নিয়ে বিধায়ক কাঞ্চনের বক্তব্য, ‘আমি তো প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। তারপর বিধায়ক। দলের লোকসভা নির্বাচনের প্রচার তাই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় হোক বা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় হোক, আমাকে প্রচারে যেতে হবে। কল্যাণদা একজন সিনিয়র মানুষ। তাই উনি যেটা করেছেন যেটা বলেছেন সেটা উনিই জানেন। উনি বলছেন মহিলারা রিঅ্যাক্ট করছেন। কিন্তু সেটাই তো বুঝছি না।’
এছাড়া সম্প্রতি কাঞ্চন মল্লিকের ব্যক্তিগত জীবন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। প্রাক্তন স্ত্রী পিঙ্কি এবং পুত্রকে বিচ্ছেদ করে অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজকে বিয়ে করেন তিনি। তার জেরেই এই রিয়্যাকশন কিনা বোঝা যাচ্ছে না। বয়সে প্রায় ২৭ বছরের ছোট শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে সংসার নিয়ে কম কথা হয়নি। কিছুদিন আগেই রিসেপশনের এক প্ল্যাকার্ডকে ঘিরেও হইচই হয়েছিল। তাঁদের রিসেপশন ভেন্যুতে ঢোকার মুখেই বড় প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল—সংবাদমাধ্যম, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এবং গাড়ির চালকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।