বিজেপি ২০০ আসন পার করতে পারবে না। লোকসভা নির্বাচনের দোরগড়ায় দাঁড়িয়ে সুর চড়িয়ে দাবি করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ২০০ আসন পার করতে না পারলে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে না। সেই অঙ্কটা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আজ, মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে দলীয় প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের সমর্থনে জনসভা করতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানিয়ে দেন, যে রাজ্য যে দল ক্ষমতাসীন সেখানে তারাই জিতবে। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোটগ্রহণ পর্ব হবে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি। তার আগেই বিজেপির ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে অলআউট লড়াই করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখানে কংগ্রেস বা সিপিএমের সঙ্গে জোট হয়নি। বাংলায় বাম–কংগ্রেস জোট হয়েছে। তবে বিজেপি বিরোধী সব দলই রয়েছে ইন্ডিয়া জোটে। তাই এই জোটের উপরই বেশি ভরসা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, আম আদমি পার্টি জিতবে বলে জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও উত্তরবঙ্গের জেলায় প্রচার করতে আসেন। তাঁকে বার্তা দিতেই এই মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলছেন বেছে বেছে মানুষকে জেলে পোরা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, উল্টো করে লটকে দেবেন। আমি বলছি গণতন্ত্রে মানুষ তোমাদের ঝটকা দেবে।’
আরও পড়ুন: পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে ধোঁয়াশা, বিজেপির ইস্তেহারে উল্লেখ নেই
এদিকে কোথায় কোন দল জয়ী হবে সেটাও বলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেটাই আসল অঙ্ক বলে মনে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘ওরা ২০০ পার করতে পারবে না। বাংলায় আমরা জিতব। পাঞ্জাবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জিতবে। তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিন জিতবে এবং উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদব জিতবে। বিজেপি শূন্য নিয়ে বসে থাকবে। কারণ আপনারা সাধারণ মানুষের পকেট ফাঁকা করেছেন। আপনারা গরিব মানুষের গির্জা জ্বালিয়েছেন। আপনারা নারীদের নগ্ন করে ঘুরিয়েছেন।’ এভাবেই মণিপুরের কথা মানুষকে মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে বিজেপি একনায়কতন্ত্র নিয়ে গর্জে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকে ইন্ডিয়া জোটের সপক্ষে সওয়াল করেন। তবে বাংলায় কংগ্রেস–সিপিএমের জোট নিয়ে তাঁদের তুলোধনাও করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আমরা জাতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটের শরিক। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আর কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। সেখানে সিপিএম–কংগ্রেস আমাদের ভোট কেটে বিজেপিকে সাহায্য করতে চাইছে। এই লোকসভা নির্বাচন স্বাধীনতা যুদ্ধের সমান। কারণ সব থেকে বড় চোর বিজেপি। যারা বিপুল পরিমাণ অর্থ বানিয়েছে তারা বিজেপিতে চলে যাচ্ছে। তখনই ইডি, সিবিআই, আয়কর থেকে বেঁচে যাচ্ছে। বিজেপি হল মাফিয়া। তারা মানুষকে লুঠ করছে। বিজেপি দেশ বিক্রি করেছে।’