লোকসভা নির্বাচনের প্রচার এখন তুঙ্গে উঠেছে। তবে তার মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ভেঙে যাবে বলে মন্তব্য করলেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী এই দাবি যখন তিনি করছিলেন তখন মঞ্চে বসেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যিনি নিজেও আগে বারবার এমন সরকার ফেলে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। এবার প্রচার সভা থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও শোনা গেল ‘ডিসেম্বর’ ডেডলাইনের কথা। সুতরাং রাজ্য–রাজনীতিতে আবার উঠল ‘ডিসেম্বর ধামাকা’।
এদিকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিপরীতে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। যিনি তরুণ তুর্কি জনপ্রিয় নেতা তথা দলের আইটি সেলের ইনচার্জ। প্রচারে তিনিও ঝড় তুলছেন। তবে প্রাক্তন বিচারপতির তথা অধুনা বিজেপি প্রার্থীর কথায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ময়নার সভা থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি প্রার্থীদের জয়ী করুন। তাহলে এই তৃণমূল কংগ্রেস, যা এখন ভিতর থেকে ভেঙে গিয়েছে, তারা নিজেরাই ভেঙে পড়ে যাবে। ডিসেম্বর মাস পর্যন্তও আমি তাদের মেয়াদ দেখছি না। এই বছরই ভেঙে যাবে।’ তবে কীসের ভিত্তিতে এমন মন্তব্য করলেন তিনি সেটার ব্যাখ্যা দেননি।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল যদি বিজেপিকে হারাতে পারে তাহলে তৃণমূলকে স্বাগত’, দীপঙ্করের মন্তব্যে চর্চা তুঙ্গে
অন্যদিকে মঞ্চে তখন বসে শুভেন্দু অধিকারী। যদিও ডিসেম্বর ডেডলাইন মিস হলে, পরের সম্ভব্য ডেডলাইনও জানিয়ে দিলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী। এদিন ময়নায় দলীয় সভা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘এই বছরই ভেঙে যাবে। যদি তা না মেলে দেড় বছর পর ২০২৬ সাল তো আছেই। এদের গুড়িয়ে দিতে হবে। এই দুর্বৃত্তদের আর একদিনও ক্ষমতায় রাখা যাবে না। এরা পশ্চিমবঙ্গকে শেষ করেছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসেও সরকার ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। একাধিকবার বিরোধী দলনেতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ১২, ১৪, ২১ তিনটে দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ। আবার ১২ ডিসেম্বর হাজরার জনসভায় সেই শুভেন্দু অধিকারীই বলেছিলেন, ‘তৃণমূল ভেঙে সরকার গড়তে চাই না। ডিসেম্বরের ধামাকায় সরকার ফেলব না।’
সেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে পাশে নিয়ে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ভেঙে পড়বে বলেছেন তিনি। শুভেন্দু তখন মৌনই ছিলেন। আজ, বুধবার রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি কোন বার্তা দেন সেটাও দেখার বিষয়। আর তার আগে সেই ডিসেম্বরের কথা শোনা গেল তমলুকের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের গলাতে। যদিও একইসঙ্গে তিনি বিকল্প অপশন হিসেবে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন। সুতরাং ধোঁয়াশা রয়েই গেল।