বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সন্দেশখালির বাসিন্দা রেখা পাত্রের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের উপভোক্তা বলে তথ্য ফাঁস করে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। তাতে যে বিজেপি বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে তা তাঁদের নেতার মন্তব্য থেকে স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য এবং শুভেন্দু অধিকারী। এবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নিশানায় তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুকের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। ফলে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।
এদিকে এই তথ্য শুধু ফাঁস করাই নয় তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। দেবাংশু ভট্টাচার্যের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আজ, শুক্রবার লকেট বলেন, ‘বাচ্চা ছেলে দেবাংশু, গলা টিপলে দুধ বেরোবে। এরা বেশি বেড়ে পাকা। আজ এসেছে কাল থাকবে না। সন্দেশখালি থেকে বিজয়রথ শুরু হবে। বাংলার মহিলারা জেগে উঠবে। সন্দেশখালির ডাকে তৃণমূল নিপাত যাবে। সারা বাংলা থেকে তৃণমূল মুছে যাবে।’ যদিও নিজের কেন্দ্রেই তাঁর বিরুদ্ধে তাঁর দল বিজেপির কর্মীরা পোস্টার দিয়েছিল। আর আজ মন্তব্য করে লকেট বুঝিয়ে দিলেন গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে আছে বিজেপি। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করতে হবে’, এনআইএ’র সঙ্গে বিজেপির গোপন বৈঠকের দাবি কুণালের
অন্যদিকে তমলুকে বিজেপির প্রার্থী তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দেবাংশু ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। লকেট এখানে বোঝাতে চেয়েছেন, দেবাংশুকে হারিয়ে জয়ী হবেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ই। লকেটের দাবি, ‘তৃণমূলের সংস্কৃতি বলে কিছু নেই। ওদের মালিক যা বলে সেনারা তাই শোনে।’ রচনার প্রাক্তন স্বামী সিদ্ধান্ত মহাপাত্র বিজেপিতে যোগ দেন। এই বিষয়ে লকেট বলেন, ‘সবাই বিজেপির হাত ধরছে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত এগিয়ে চলেছে। ওড়িশার উনি একজন খুব বড় সেলিব্রিটি। আমরা একসঙ্গে যখন কাজ করেছি উনি দারুণ কাজ করতেন। একজন স্টার। সিদ্ধান্ত বুঝতে পেরেছেন দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে গেলে নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরতে হবে। কিন্তু ইনি বুঝতে পারেননি। ভুল করে চলে এসেছেন দিদি নম্বর ১ থেকে। ওনাকে পস্তাতে হবে পরে। না জেনে কোন দলে এলাম। আসতে যদি হতো তাহলে নরেন্দ্র মোদীজির হাত ধরতে হতো।’
এছাড়া এদিন পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ব্যান্ডেল পুলিশ ফাঁড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির নেতা–কর্মীরা। সেখানে হাজির হন লকেট। তাঁর অভিযোগ, ‘ভোটে স্থানীয় পুলিশকে ব্যবহার করছে তৃণমূল। ২০১৯ সালের পর থেকে ব্যান্ডেলে যাঁরা বিজেপি করতেন তৃণমূলের নির্দেশে বেছে বেছে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে বাড়ি ছাড়া করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে আমরা নির্বাচন কমিশনে যাব। অনেকেই জেল খেটেছেন। বিজু পাসোয়ান এলাকা ছাড়া। শিবা কাহার, কৃষ্ণা কাহার, পিন্টু সিং ও গঙ্গা মহালিকে মারধর করেছে। পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশকে উপর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই গুন্ডাদের দিয়ে ভোট করানোর চেষ্টা চলছে।’