আজ, শুক্রবার দুপুরে সব জেলার ডিইওদের সঙ্গে জরুরি ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই প্রযুক্তির কর্তারা। সেখানে ছিলেন সিইও–সহ বাকি অফিসাররাও। এই লোকসভা নির্বাচনের দিনগুলিতে ওয়েব কাস্টিংকে সম্পূর্ণ নিখুঁতভাবে পরিচালনা করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। এই বৈঠকের আলোচনায় ওয়েব কাস্টিংয়ের বিষয়টিও তুলে ধরা হয় বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ করতে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। হাতে আর বেশি সময় নেই। প্রথম দফার ভোট ১৯ এপ্রিল। সুতরাং হাতে আর ১৪ দিন বাকি।
সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হবে বাংলা–সহ কয়েকটি রাজ্যে। তাই নির্বাচন স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে বলা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের সমস্ত বুথেই ওয়েব কাস্টিং করতে হবে। তাতে স্বচ্ছতা থাকবে। আক ব্যবহার করা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিও। যাকে এআই বলা হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে বোঝা যাচ্ছে, দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে স্বচ্ছতা আনতেই বুথে বুথে ওয়েব কাস্টিং শুরু করে নির্বাচন কমিশন। বুথে কী হচ্ছে, কারা ভোট দিতে আসছেন, কোনও অশান্তি হচ্ছে কি না—সব কিছুতেই নজরদারি চালাতে নির্বাচন কমিশন ওয়েব কাস্টিং প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। বিশেষত অনলাইনেই এই নজরদারি চালানো হয়।
আরও পড়ুন: পাতালপথে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন মহিলা, স্তব্ধ পরিষেবা স্বাভাবিক হচ্ছে
ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রত্যেক জেলায় টহল দিতে শুরু করেছে। প্রথম দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে উত্তরবঙ্গের জেলায়। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার সময় দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, এবারের লোকসভা নির্বাচনে কোনও ধরনের অশান্তি রদাস্ত করা হবে না। অশান্তি ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপের কথাও বলেছিলেন রাজীব কুমার। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, ওয়েব কাস্টিংয়ের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে সেটার আভাস দিয়েছিলেন রাজীব কুমার। এবার রাজ্যের সমস্ত বুথগুলিতেই ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এছাড়া নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্যের ১০০ শতাংশ বুথেই ওয়েব কাস্টিং করা হবে। বাংলায় একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও বুথে বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ৫০.৩১ শতাংশ বুথেই এই ব্যবস্থা ছিল। এবার সেটাই বাড়িয়ে ১০০ শতাংশ করা হচ্ছে। এবার রাজ্যের ৮০ হাজার ৫৩০টি বুথেই ওয়েব কাস্টিং করার ব্যবস্থা থাকবে। দেশের অন্যান্য রাজ্যেও ওয়েব কাস্টিং ব্যবস্থা চালু হতে চলেছে এবারের লোকসভা নির্বাচনে।