এখন লড়াইটা পরিচয়ের। লোকসভা নির্বাচনে আসন জেতাটা মর্যাদার লড়াই। তাই এখানে কোনও কোন্দল তিনি বরদাস্ত করবেন না। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নন্দীগ্রামের জেলায় কর্মী বৈঠকে এসে সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন্দলের বিষয়টি আঁচ করেই এবার দলীয় নেতৃত্বকে কড়া বার্তাও দিলেন অভিষেক। শুধু তাই নয়, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একের পর এক নেতাকে ধমক দেন অভিষেক বলে সূত্রের খবর। কারণ এখানে দলীয় কোন্দলের জেরে সমস্যা রয়েছে। সেটা পরখ করেই এমন ধমক বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। তাঁর জয়ের জন্য সাংগঠনিক জেলার নেতাদের নিয়ে সোমবার হলদিয়ায় বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি হোটেলে ছিল এই রুদ্ধদ্বার কর্মী সভা। আড়াই ঘণ্টা চলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক। সেখানেই নেতারা ধমক খান। শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে দুটি আসনই জেতা এখন প্রেস্টিজ ফাইট। এটাই নেতাদের বুঝিয়ে দেন তিনি। এই বৈঠকে নন্দীগ্রাম, হলদিয়া এবং ময়না বিধানসভা এলাকায় থাকা দলের অন্দরের কোন্দল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই এই তিন এলাকার নেতাদের ধমক দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: টেলিগ্রাম অ্যাপে গ্রুপ খুলে চলত কথা, রামেশ্বরম কাফে বিস্ফোরণে নয়া তথ্য পেল এনআইএ
অন্যদিকে কাঁথি এবং তমলুক কোনও অবস্থাতেই যেন হাতছাড়া না হয় সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চারজন বিধায়ক, জেলা সভাপতি, যুব সংগঠনের সভাপতি, ব্লক সভাপতি এবং সংগঠনের নেতারা। হলদিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মিলন মণ্ডলকে প্রশ্ন করেন অভিষেক, কেন অন্যদের সঙ্গে নিয়ে তিনি চলতে পারছেন না? এখানের কিছু নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করেছিলেন মিলন। সেই রেশ ধরেই ধমক দিয়ে মিলনকে অভিষেক বলেন, ‘আপনি কাকে মানতে পারছেন বা পারছেন না সেটা বড় কথা নয়। দল যা বলে দিয়েছে সেটা মেনেই চলতে হবে আপনাকে।’
এছাড়া তমলুক সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ আসগর আলিকে ধমক দিয়ে অভিষেক বলেছেন, ‘আপনি যেখানে সেখানে যখন খুশি চলে যাচ্ছেন। অথচ মাদার তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করছেন না আপনি। গত ৩০ দিনে কোন বুথভিত্তিক কমিটি তৈরি কেন করা হয়নি? উল্টে একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যাচ্ছেন!’ তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিষেক বলেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুরে বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় অনেক ভাল ফল হবে। এই জেলার কিছু জায়গায় অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা রয়েছে। সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’