এখন লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। তাই এখন প্রচার তুঙ্গে। বিজেপি মানুষের উপর অত্যাচার করছে। অধিকার কেড়ে নিচ্ছে বলে বারবার অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রেড রোডে ইদের মঞ্চ থেকে পরিবর্তনের ডাক দিলেন অভিষেক। শায়েরি করে তিনি বলেন, ‘আব কুছ ভি হো, মৌসম বদলনা চাহিয়ে’। অর্থাৎ বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, এখন কিছু হয়ে যাক, ঋতুর পরিবর্তন চাই। রেড রোডের ইদের মঞ্চে শের–শায়েরী শুনিয়ে পরিস্থিতি পরিবর্তনের বার্তা দিলেন ডায়মন্ডহারবার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডে আজ, বৃহস্পতিবার ইদের মঞ্চে নমাজ পাঠ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হুঁশিয়ারি দেন সিএএ, এনআরসি এবং অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে। তারপরই বক্তব্য রাখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামীকাল শুক্রবার জলপাইগুড়ি যাবেন অভিষেক। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে মিলিত হবেন। তাঁর সঙ্গে থাকবেন রাজ্যসভার সাংসদরা। মাত্র আড়াই মিনিটের বক্তব্যে আজ কোনও রাজনৈতিক কথা বলেননি অভিষেক। তবে প্রচ্ছন্ন বার্তা দিয়েছেন। এই দেশের সরকার যে বদলানো দরকার তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। সকলকে ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে অভিষেক বলেন, ‘আপনারা একমাস ধরে রোজা রেখেছেন। আল্লার কাছে প্রার্থনা করেছেন। আল্লা আপনার সমস্ত কামনা পূর্ণ করুক। সকলের পরিবারে শান্তি, সুস্বাস্থ্য কামনা করি। সকলে ভালবাসায় থাকুন।’
আরও পড়ুন: প্রকাশ্য রাস্তায় বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের দাদাগিরি, মারধর পিএইচই কর্মীকে
ইদের মঞ্চ থেকে রাজনৈতিক কথা বলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আসলে বিজেপি যে কাজ করছে, অত্যাচার করছে মানুষের উপর এবং বিভেদ করছে মানুষের মধ্যে তার জন্যই রাজনৈতিক আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। এদিন বাংলায় একতা বজায় রাখার বার্তা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘যেভাবে আপনারা সৌভ্রাতৃত্ব বজায় রেখেছেন সেটা যেন বজায় থাকে। যে চাঁদ দেখে ইদ হয়, সেই চাঁদ দেখে করবা চৌথও হয়। যে গঙ্গার জল হিন্দু ভাই পান করেন, সেই গঙ্গার জলই একজন মুসলমান ভাইও পান করেন। জল–চাঁদের কোনও ধর্ম নেই। যে হাওয়ায় শ্বাস নিই আমরা, তারও কোনও ধর্ম নেই।’
এরপরই শের–শায়েরী বলেছেন অভিষেক। অভিষেকের বক্তব্য, ‘যে ভাইয়ের সঙ্গে ভাইয়ের লড়াই করাবে, তাদের উদ্দেশে একটাই কথা বলব, কিড়ায়দার হ্যায়, জাতি মকান থোরি হ্যায়। যে সরকার আপনারা মনোনীত করেন, তার মালিক আপনারাই। সরকার ভাড়াটে হয়, সরকার স্থায়ী নয়, স্থায়ী হল জনতা। হিন্দুস্থান কি কারও বাবার? সৌভ্রাতৃত্বটাই বজায় রাখতে হবে। আব কুছ ভি হো, মৌসম বদলানা চাহিয়ে।’ আজ এই বক্তব্য লোকসভা নির্বাচনের আবহে নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।