সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে গত ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেসের চারটি মূল ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয় আয়কর দফতর। যারফলে প্রার্থীদের প্রচারের খরচ বহন করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে কংগ্রেস। এই অবস্থায় নির্বাচনী প্রচারের তহবিলের জন্য সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন দলের অনেক প্রার্থী। সেরকমই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রম্জ (ভিক্টর) সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চাইছেন। এ নিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুনঃ 'সরকারি টাকায় সব হজম করছে', SSC বিচারপতিদের তোপ মমতার, দেখালেন আত্মহত্যার জুজু
সোমবার উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায় চাকুলিয়া শিরসি হাই মাদ্রাসার মাঠে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা থেকে নাম না করে ভিক্টরকে আক্রমণ করেন তৃনমূল সুপ্রিমো। তাঁর কটাক্ষ, টাকা নেই দাবি করে একজন লোকের কাছ থেকে আঁচল পেতে টাকা চাইছেন। আসলে সেইসব টাকা তিনি নিজের কাছে রাখবেন। পালটা মমতাকে আক্রমণ করেন ভিক্টর। তিনি জানান, কংগ্রেসের যে টাকা নেই সেটা সকলেই জানেন। তাঁর দাবি, মানুষ তাঁকে ভালোবেসে সাহায্য করছেন। সেই কারণে এখন মুখ্যমন্ত্রী হতাশা থেকে এই কথা বলছেন।
কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে এ দিন চাকুলিয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী আরও একটি সভা করেন করণদিঘিতে। সেখানে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমের সেটিং তত্ত্বের অভিযোগ তোলেন মমতা। তিনি মন্তব্য করেন, বিজেপির দুই চোখ হল কংগ্রেস অ সিপিএম। প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফের গুলিতে অনেক পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছে। এপ্রসঙ্গ তুলে বিএসএফকেউ আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে, এদিন মমতার সভায় একাধিক কগ্রেস নেতা তৃণমূলে যোগ দেন। তারমধ্যে রয়েছেন- চাকুলিয়ার কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ মোস্তাফা, গোয়ালপোখরের নুর আহসান এবং ইসলামপুর ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি সাদিকুল ইসলাম। যদিও কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্বের দাবি, তাদের আগেই দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যাদিকে, এদিনের সভা থেকে বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করেন মমতা। তিনি দাবি করেন, বিজেপির সভায় লোক হচ্ছে না তাই টাকা দিয়ে তারা লোক নিয়ে যাচ্ছে। এরজন্য কাউকে ৫০০ টাকা আবার কাউকে দেড় হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। মমতার পরামর্শ এই টাকা নিয়ে ভোটের সময় জবাব দিতে হবে। তাঁর কথায়, ‘নেবেন, কিন্তু ভোটের সময় গাঁথে দেবেন।’ শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তাঁকে ‘গদ্দার’ বলে আক্রমণ করেন মমতা।