পশ্চিমবঙ্গে রক্তপাতহীন নির্বাচন যেন স্বপ্নই। ভোটগ্রহণের আগের রাতে কোচবিহারে পর পর হামলায় আহত অন্তত ২ জন তৃণমূল কর্মী। তাদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তৃণমূলের দাবি, হামলার পিছনে রয়েছে বিজেপি। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি দাবি করেছে, তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে অশান্তি জেরে এই হামলা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোচবিহারের দিনহাটায় আক্রমণ হয় এক বিজেপি কর্মীর ওপর। তৃণমূলের অভিযোগ, দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের গোসানিমারি এলাকার নলধন্দ্রা বুথের আজমুদ্দিন মিয়া নামে ওই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ও নির্বাচনী বুথ এজেন্ট আরও কয়েকজন কর্মী সহ যখন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তাদের বুথ সভাপতি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন ঠিক সেই সময় আচমকা তাঁদের উপর আক্রমণ করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা । শুধু আজিমউদ্দিন নয় একই সাথে তার সঙ্গে থাকা আরো দু’জনের উপর আক্রমণ করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আজিমউদ্দিনের মাথায় হাঁসুয়ার কোপ দেয় দুষ্কৃতীরা। বর্তমানে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি তিনি। এই ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, হিংসার রাজনীতিতে বিজেপি বিশ্বাস করে না। বিজেপি এত রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। কোথাও রাজনৈতিক হিংসা হয় না। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে হামলা হয়েছে।
ওদিকে তুফানগঞ্জ বিধানসভা ২ নম্বর মণ্ডলের যুব সহ সভাপতি মানিক কোঙ্গারের উপর অতর্কিত হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তুফানগঞ্জ ২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য উত্তম বর্মনের বিরুদ্ধে। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন। ঘটনায় তুফানগঞ্জ - শালবাড়ি রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা।