কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র। এখানকার তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন মহুয়া মৈত্র। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় অনেক দিন আগে তাঁর নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এই আসনে এখনও বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে এনিয়ে জল্পনা একেবারে তুঙ্গে। সূত্রের খবর, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এবার বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের বর্তমান কূলবধূ অমৃতা রায়। এনিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে।
এদিকে সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে অমৃতা দেবীর সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এদিকে কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ি নিয়ে এলাকায় আবেগ রয়েছে। সেই আবেগ পুরোমাত্রায় কাজে লাগাতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
তৃণমূলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন এসএম সাদি। তবে কৃষ্ণনগরে বিজেপি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি এখনও। সেক্ষেত্রে শুধু বিজেপি নয়, তৃণমূলের অন্দরেও এনিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
তবে ইতিমধ্য়েই এলাকায় দাপিয়ে প্রচার করছেন মহুয়া মৈত্র। নরমে-গরমে নানা টোটকা দেওয়ার কথাও বলছেন তিনি। তবে এলাকায় তৃণমূলের অন্দরে সব শিবির মহুয়ার এই ভোট প্রচারে শামিল হয়েছেন এমনটা নয়। সেক্ষেত্রে এবার মহুয়া মৈত্রকে প্রার্থী করে তৃণমূল কতটা সুবিধা করতে পারবে সেটাও দেখার।
সংসদ থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। সেক্ষেত্রে এবার কৃষ্ণনগর আসনটি বিজেপি ও তৃণমূলের কাছে মর্যাদার লড়াই। ফের যদি মহুয়া মৈত্র লোকসভায় যান তবে সেই মর্যাদার লড়াইতে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে চলে যাবে এনডিএ। যদি তারা ক্ষমতায় আসে। আর যদি বিজেপি এই কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করতে পারে তবে বিজেপির কাছে এই জয় হবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে একটি অডিও ক্লিপকে ঘিরে সম্প্রতি বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। তবে সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। সেই অডিও ক্লিপে শোনা গিয়েছে যে ভোট করতে গিয়ে সেখানে মধু আর যেখানে নিমপাতা দেওয়ার সেখানে নিমপাতা দিতে হবে। এখানেই শেষ নয়। সেখানে বলতে শোনা গিয়েছে, এক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ প্রশাসনিক ব্যাকআপও পাওয়া যাবে।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ওই অডিও ক্লিপে বলতে শোনা গিয়েছিল, যে করেই হোক বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটটা এবার করতে হবে। এবার কিন্তু যেখানে মধু দিয়ে, যেখানে নিমপাতা দিয়ে ভোটটা করতে হবে। সিম্পল কথা। প্রশাসনিক ব্যাকআপ হান্ড্রেড পার্সেন্ট আপনারা পাবেন। এই কথা আমি দিয়ে দিচ্ছি।
আর অমৃতা রায় বলেন, আমি পার্টি বুঝি না। আমার ইচ্ছে বাংলাকে তুলে ধরা। যেটা আমাদের গর্ব। সেটা আবার উঠে আসুক। এদিন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত দুই কালীমন্দিরে পুজো দেন তিনি।