ফলাফল বের হতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে বার বার সরব হয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এবার বিজেপির সদর দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হলেন বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন সেই অবস্থান বিক্ষোভস্থলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহাকে দেখা যায়। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসে ডোমজুড় আসন থেকে হেরে যাওয়া প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়কেও অবস্থান বিক্ষোভস্থলে দেখা যায়। তবে দলবদলুদের একাংশকে দেখা যায়নি এদিন। এদিকে এদিন ফের তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষ বলেন, 'হিংসার পক্ষে উনি আছেন কিনা তা করে দেখাতে হবে। ওনার কথায় আমার ভরসা নেই। নিজের পার্টির লোকেদের, গুণ্ডাদের উনি সামলান।' বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, 'অত্যাচারের শেষ সীমায় চলে গিয়েছে। আফগানিস্তান, সিরিয়ার মতো অবস্থা হয়ে গিয়েছে। যেটা শুনতাম, সেটা দেখতে পাচ্ছি।তালিবানি শাসন চলছে। ১৫০জন কর্মীর বলিদান বিফল হতে দেব না। দরকারে আরও ১৫০ জন প্রাণ দেবেন, কিন্তু গণতন্ত্রকে আমরা ফিরিয়ে আনবই।' অশান্তির সুযোগে কর্পোরেশন ও পুরসভা ভোট করাতে চাইছে তৃণমূল, এমন আশঙ্কাও এদিন প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ।
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী নিজে হেরেছেন। রাজ্যে এই প্রথম মানুষ দেখল একটা দল জিতেছে , তার মুখ্যমন্ত্রী হেরেছেন। মমতাকে জনগণ রিজেক্ট করেছে। রাজ্যে একটি বিশেষ সম্প্রদায় আক্রান্ত'। দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। মোদীজী আপনাকে বাঁচাতে হবে, আবেদন শুভেন্দু অধিকারীর।