তৃণমূল কংগ্রেসেই আছেন বলে নিজের মুখেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু ক্রমশ কি দাদা শুভেন্দু অধিকারীর পথেই হাঁটছেন দিব্যেন্দু অধিকারী? তমলুকের সাংসদের একাধিক সিদ্ধান্তে সেই গুঞ্জন ক্রমশ বাড়ছে। সেই জল্পনায় ঘি ঢেলে এবার আট হাসপাতালের প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন দিব্যেন্দু। সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের মনোনীত সরকারি প্রতিনিধি পদও ছাড়লেন।
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি দিয়ে দিব্যেন্দু জানান, ওই আটটি প্রশাসনিক পদ ছেড়ে দিচ্ছেন। সেই তালিকায় আছে হলদিয়া ও কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল, তমলুক, কোলাঘাটের এবং শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লুকের দুটি করে জনস্বাস্থ্য কেন্দ্র। বিভিন্ন হাসপাতালে সরকার মনোনীত যে পদগুলি আছে, সেগুলিও ছেড়ে দিয়েছেন দিব্যেন্দু। সেই ঘটনায় স্বভাবতই জল্পনা শুরু হয়েছে।
বিশেষত আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দিব্যেন্দুকে। এলাকার সাংসদ হিসেবে অনুষ্ঠানে যাবেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দুর ভাই। সেই উপস্থিতি নিয়ে জল্পনার মধ্যেই সূত্র মারফত খবর মিলেছে, স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছেন দিব্যেন্দু। তাতে গুঞ্জন আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
গত ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদানের পর গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন সৌমেন্দু অধিকারী। তারপর কাঁথির অধিকারী পরিবারের দুই সদস্য সরকারিভাবে তৃণমূলে থাকলেও ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে যে ক্রমশ দূরত্ব প্রকট হচ্ছে, তা পরিষ্কার। মমতার নন্দীগ্রামের সভায় হাজির হননি শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু। তারইমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে শিশিরকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এখনও জেলার চেয়ারম্যান থাকলেও আদতে সেই পদ আলঙ্কারিক বলে মত তৃণমূলের একাংশের। শুভেন্দুও নিজের পরিবারে পদ্ম ফোটানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। সেই পরিস্থিতিতে একধাক্কায় আটটি প্রশাসনিক পদ থেকে দিব্যেন্দু ইস্তফা দেওয়ায় স্বভাবতই জল্পনা শুরু হয়েছে, এবার কি অধিকারী পরিবারে আরও একটা পদ্ম ফুটছে?