তৃণমূলে কি আছেন শিশির অধিকারী? মঙ্গলবার প্রশ্ন তুলে দিলেন কাঁথির বর্ষীয়ান সাংসদ নিজেই। এমনকী আমন্ত্রণ পেলে ২৪ মার্চ কাঁথিতে নরেন্দ্র মোদীর সভাতেও তিনি হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন শিশিরবাবু। জানিয়েছেন, বুধবার থেকে ছেলে শুভেন্দুর হয়ে প্রচারে নামবেন তিনি।
গত ডিসেম্বরে ছেলে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই শিশিরবাবুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কবে বিজেপিতে যাচ্ছেন তিনি? এই প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরেই। এরই মধ্যে তাঁকে একে একে সরকারি পদ থেকে অপসারণ শুরু হয়েছে। কাঁথিতে অধিকারী আবাসে আনাগোনা বেড়েছে বিজেপির নেতামন্ত্রীদের। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলে ছেলে শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতার সহ্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন শিশির অধিকারী।
এরই মধ্যে মোদীর সভায় হাজির থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন শিশিরবাবু। বললেন, ‘আমি কি তৃণমূলে আছি? যেদিন শুভেন্দু ছেড়ে গিয়েছিল তার ২ দিন পর থেকে পিতৃপুরুষ তুলে গালিগালাজ শুরু করেছে।’ নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘কলকাতা থেকে এক ভদ্রলোক আসছেন। তার পাশে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে চোর – ডাকাতদের। আর বলছে আমরা না কি মিরজাফর। মেদিনীপুরের লোক জানে, কে ত্যাগী আর কে ভোগী।’
মোদীর সভায় কি দেখা যাবে তাঁকে? শিশিরবাবু বলেন, ‘ছেলে যদি প্রচারে ডাকে তো যাবো।’ সঙ্গে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনায় বলেন, ‘উনি কি পড়েছেন? কোথায় পড়েছেন? ডাক্তার বলেছে কিচ্ছু হয়নি। দুদিন আগে বলছিল লোকে ধাক্কা মেরেছে। প্রতিবাদ হলে এখন বলছে দরজায় লেগেছে। আমারা ঘরে বসে সিনেমা দেখছি।’
গত বুধবার নন্দীগ্রামে ভোটপ্রচারে গিয়ে আহত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পান তিনি। রবিবার থেকে হুইলচেয়ারে চড়ে ফের প্রচার শুরু করেছেন মমতা।