তৃণমূলের সাংসদ হলেও দলের সঙ্গে আর তেমন সম্পর্ক নেই তাঁর। গত কয়েক মাস ধরে একে একে ছেড়েছেন সরকারি পদ। এই অবস্থায় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে প্রকাশ্য মঞ্চে দেখা গেল দিব্যেন্দু আধিকারীকে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রীতিমতো খোল করতাল বাজালেন তিনি। যাতে ফের তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা মাথা চাড়া দিয়েছে।
সোমবার নন্দীগ্রামের সাউথখালিতে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্থানীয় সাংসদ দিব্যেন্দু। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সভাপতিসহ তাবড় নেতা। সেখানে সবার সঙ্গে খোল বাজান তিনি। তবে বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন তমলুকের সাংসদ।
এদিন দিব্যেন্দু বলেন, ‘তৃণমূল ছাড়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ হাজির হতেই পারেন। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ খোঁজা অনর্থক।’
গত ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে কার্যত মুখ দেখাদেখি বন্ধ তৃণমূল নেতাদের। কাঁথির শান্তিকুঞ্জের ২ সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কার্যত কোনও যোগাযোগ নেই দলীয় নেতৃত্বের। শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে একে একে সরকারি পদ থেকে সরানো হয়েছে অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যদের। বেশ কিছু পদ তাঁরা স্বেচ্ছায় ছেড়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, শুভেন্দুর মতো তৃণমূলের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছেন দিব্যেন্দু। দল তাঁকে বহিষ্কার করলে সাংসদ পদে ইস্তফা দিতে হবে না তাঁকে। ওদিকে নিজে দলবদল করলে তাঁর বিরুদ্ধে কার্যকর হবে দলত্যাগ বিরোধী আইন। তাই আপাতত সুতোয় ঝুলছে অধিকারীদের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক।