বুধবার মাথাভাঙায় আসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথাভাঙা শহরের মহকুমা হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠে তিনি শীতলকুচির গুলিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রত্যাখ্যান করলেন শীতলকুচিতে নিহত আনন্দ বর্মনের পরিবারের সদস্যরা। মৃতের দাদা বলেন, ‘সব তো শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি বিজেপি পার্টি করি। বিজেপি পার্টি করার জন্যই আমার ভাই মারা গেল। মুখ্যমন্ত্রী আর এসে কি করবেন!’ যদিও তিনি জানেন রাজ্য পুলিশ গুলি চালায়নি। গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
চতুর্থ দফার নির্বাচনে রক্তাক্ত হল কোচবিহারের শীতলকুচি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারালেন চারজন। এই ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির তরজা যখন তুঙ্গে, তখন প্রচারের আলোকবৃত্তের বাইরে রয়ে গিয়েছেন আনন্দ বর্মন। অথচ সেদিন ভোট দিতে গিয়ে তিনিই প্রথম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। বুধবার মাথাভাঙা হাসপাতালে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি নিহত চারজনের পরিবারের মোট ২০ জন সদস্যের সঙ্গে কথা মমতা কথা বলবেন। স্থানীয় নেতারা তাঁদের নামের তালিকা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন। তবে শুধু নিহতের পরিবারগুলি নয়, গোটা আমতলি গ্রাম মমতাকে সেই দিনের ঘটনার কথা জানানোর জন্য মুখিয়ে আছে।
তবে কোচবিহারে বিজেপির জেলা পার্টি অফিসে বসে আনন্দের বাবা জগদীশ বর্মন জানিয়ে দিলেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই না। দু’–তিনজন ফোন করেছিল আমাকে। কিন্তু আমি না করে দিয়েছি। আমি টাকা নেব না। দিদির কাছ থেকে কিছু নেব না। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের কাছ থেকে কিছু নেব না। আমার বড় ছেলেকে বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়েছে। এমনকী, বাড়ি এসেও হুমকি দিয়ে গিয়েছে, ভোট দিতে গেলে তোমার জীবন নেওয়া হবে। বড় ছেলেকে না পেয়ে আমার ছোট ছেলেকে মেরে দিয়েছে।’
এই বিষয়ে আনন্দ বর্মনের দাদা গোবিন্দ বর্মন জানান, আমার ভাইকে বোমা মারে। আমি পড়ে যাই, তারপর বাঁশ দিয়ে মারে। কোনওরকমে ভাইকে তুলে নিয়ে পাশেই কাকুর বাড়িতে দিতে আসি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আমি বিজেপি পার্টি করি। বিজেপি পার্টি করার জন্যই আমার ভাই মারা গেল। মুখ্যমন্ত্রী এখন এসে কি করবেন।