নির্বাচন কমিশন ‘ক্যাম্পেন কার্ফু’ জারি করলেও রাজনৈতিক কর্মীদের বুদ্ধিমত্তার কাছে পরাস্তই হচ্ছে। কারণ প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলের নির্বাচনের উপর কোপ মেরেছে নির্বাচন কমিশন। তখন বিকল্প পথ খুঁজে বের করে তাক লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, সন্ধ্যে ৭টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রচার করতে পারবে না কোনও রাজনৈতিক দল। কোভিড রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে খবর। যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ‘বিজেপি হেরে যাবে বলেই নির্বাচনী প্রচারে কোপ দেওয়া হয়েছে।’ তবে বিকল্প প্রচারের পথ বের করে ফেলা হয়েছে।
কী সেই বিকল্প পথ? এই বিকল্প পথ হল, প্রচারে নামানো হয়েছে সারমেয়দের। তাদের গায়ে প্রচারের স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রচারও হচ্ছে। আবার প্রতিবাদ করারও কিছু নেই। মানুষের প্রচার করা নিষেধ। জন্তুর তো নয়। এটাকেই কাজে লাগানো হয়েছে। অনেকেই বলছেন, যারা কথা বলতে পারে না, অবলা জীব, নির্বাচনী অত্যাচার থেকে তাদেরও রেহাই নেই।
ঠিক কী ঘটেছে? কিছু মানুষের অত্যাচার থেকে রেহাই পেল না সারমেয়রাও। নিরীহ সারমেয়র গায়ে লাগানো হল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। যাতে লেখা ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। হাসির রোল যেমন উঠেছে তেমনই সমাজের বুকে প্রতিক্রিয়াও মিলেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বেজায় চটেছেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। ফেসবুকে ছবি শেয়ার করে নায়িকা লিখেছেন, ‘এসব কী হচ্ছে? এদের অন্তত ছাড় দিন। নাহলে জানেন কী হতে পারে!’ তবে কে বা কারা এই কাজ করেছে তা এখন জানা যায়নি। তবে পথকুকুর ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে দিব্যি প্রচার হচ্ছে।
এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকাও লঙ্ঘন করা হল না। একুশের নির্বাচনে বামেদের হয়ে বিস্তর প্রচার করেছেন শ্রীলেখা মিত্র। শনিবার সকাল সকাল ভোট দিতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। আদি বাড়ি দমদম কেন্দ্রে। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট প্রার্থী ব্রাত্য বসুর বিরদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিপিআইএমের পলাশ দাস। তারপরই এই ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন শ্রীলেখা।
তাঁর নিজেরও পোষ্য ছিল। কিছুদিন আগে নিজের প্রিয় ‘প্রোটিন’ পোষ্যকে হারিয়েছেন। কেউ তাঁর প্রিয় প্রোটিনকে খাবারের সঙ্গে বিষ দিয়েছে। ফেসবুকে জানিয়েছিলেন শ্রীলেখা। তাকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। আবার এই ঘটনা যে তিনি একদম বরদাস্ত করবেন না শনিবার ফেসবুক পোস্টে সেকথাই জানিয়ে দিলেন অভিনেত্রী।