সকাল-বিকেলের জোড়া অডিয়োর রেশ এখনও কাটেনি। তারইমধ্যে নয়া একটি অডিয়ো প্রকাশ করলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। অভিযোগ করলেন, বিরোধীদের মাটিতে পুঁতে দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার সন্ধ্যায় টুইটারে মমতার ছবি দেওয়া দু'মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি অডিয়ো ক্লিপ (সত্যতা যাচাই করেনি ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’) প্রকাশ করেন অর্জুন। দাবি করেন, অডিয়োয় এক প্রান্ত থেকে কথা বলছেন মথুরাপুরের সাংসদ চৌধুরী মোহন জাটুয়া এবং অপর প্রান্তে আছেন মমতা (অর্জুনের দাবি অনুযায়ী)।
কিন্তু কী আছে অডিয়োয়? ওই ১৩৫ সেকেন্ডের অডিয়োর শুরুতেই একটি পুরুষ কণ্ঠ যোনা যায়। যে ব্যক্তি নিজেকে সিএম জাটুয়া হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি কাউকে একটা ফোন করেন। কিছুক্ষণ পর অপর প্রান্ত এক মহিলা কণ্ঠ শোনা যায়। ওই ব্যক্তি ওই মহিলাকে ‘দিদি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তারইমধ্যে ওই মহিলা কণ্ঠে শোনা যায়, ‘আপনার মন্দিরবাজারে একটা ব্লক প্রেসিডেন্ট আছে, অলোক বলে। ওকে মার্ডার করার জন্য ওই দিলীপ জাটুয়াটা (মন্দিরবাজারে বিজেপির প্রার্থী) বিজেপিতে গিয়ে জয়েন (যোগ দিয়েছে) করেছে না, ও একজনকে টাকা দিয়েছে, ৬০,০০০ টাকা, গুন্ডা হায়ার (ভাড়া) করে (খুন) করার জন্য। এটা আপনি অলোককে একটু জানিয়ে দেবেন। অন্য কিছু নয়, ও নিজের সিকিউরিটি (সুরক্ষা) নিয়ে ঠিক থাকবে এবং পুলিশকে দিয়েও ওর সিকিউরিটির ব্যবস্থা করিয়ে দিচ্ছি।’ মাঝেমধ্যে ওই পুরুষ কণ্ঠও শোনা যায়।
অডিয়োর শেষের দিকে ওই মহিলা জানতে চান, দিলীপ জাটুয়া আদতে কে? তাতে ওই ব্যক্তি জানান যে গত দু'বার পঞ্চায়েত ভোট হেরেছিলেন দিলীপ। এবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিল। তার প্রত্যুত্তরে ওই মহিলা কণ্ঠে শোনা যায়, ‘ওকে গর্তে পুঁতে দিন, ওকে গর্তে পুঁতে দিন, ভালো করে পরে যদি গাছ হয়ে জন্মাতে পারে।’
উল্লেখ্য, রাজ্যে প্রথম দফার ভোটে বেলার দিকে একটি অডিয়ো ক্লিপ (সত্যতা যাচাই করেনি ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’) ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, ফোনের একদিকে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা (বিজেপির দাবি) ফোন করেছিলেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পালকে। প্রলয়ের দাবি, মমতা ফোন করে তৃণমূলে ফিরে আসার আর্জি জানান। ‘সাহায্য’ করার আর্জি করেন। যদিও তিনি সেই আর্জি ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি প্রলয়ের। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আসরে নেমেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, মমতা হেরে যাবেন বুঝেই কাকুতি-মিনতি করছেন। যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্য, অডিয়োটি সত্যি বলে ধরলেও মমতা ফোন করতেই পারেন। কারণ প্রলয় তৃণমূল ছেড়েি বিজেপিতে গিয়েছেন। পরে তৃণমূলের তরফে পালটা বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং শিশির বাজোরিয়ার একটি অডিয়ো ক্লিপ (সত্যতা যাচাই করেনি ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’) প্রকাশ করা হয়। দাবি করা হয়, নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ তৈরি করার কৌশল নিচ্ছিলেন দু'জনে।