একের পর এক নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে সাফল্য পেলেও মালদায় এখনো সাফল্য পায়নি তৃণমূল। বুধবার জেলায় এক জনসভায় এই নিয়ে আক্ষেপ ঝরে পড়ল তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। জেলার মানুষকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘মালদায় কি আমরা কিছুই পাবো না?’
কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত মালদায় সম্প্রতি দাঁত ফুটিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূল জেলায় কোনও দিনও তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেনি। গনি জমানার শেষেও দীর্ঘদিন মালদায় তাঁর ক্যারিশ্মা অক্ষুণ্ণ ছিল। ফলে ভোটবাক্সে কোনও ফল পায়নি তৃণমূল। তার ওপর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দে লাগাতার জেরবার ছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এমনকী ২০১১ – ১৬ তৃণমূলের স্বর্ণযুগে সাবিত্রী মিত্র ও কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর কোন্দলে বার বার হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যার জেরে ২০১৬ সালের নির্বাচনে হারেন ২ মন্ত্রীই।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও জেলায় সুবিধা করতে পারেনি তৃণমূল। মালদা উত্তরে মৌসম বেনজির নুরকে দাঁড় করিয়েও ভোট বৈতরণী পার করতে পারেনি তারা। সব চেষ্টা সত্বেও বার বার দলের হারে এদিন হতাশা ঝরে পড়ল মমতার গলায়।
এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘এখানে এসে যখন দেখি রাস্তার দু’পাশে এত মানুষ, তখন মনে হয় এবার বুঝি মালদা এবার বুঝি মানুষ আমাকে গ্রহণ করেছে। কিন্তু ভোট এলে সব বদলে যায়। সিপিএম – কংগ্রেস – বিজেপি সব ভাগ করে নিয়ে যায়। ভোটের পর কংগ্রেসের কয়েকজন আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বলে কয়েকটা আসন এসেছে। কিন্তু মালদায় কি আমরা কিছুই পাবো না?’
সঙ্গে মমতা বলেন, ‘এবার কিন্তু শূন্য হাতে ফিরবো না। আপনাদের আশীর্বাদ – দোয়া সঙ্গে নিয়ে যাবো।’
এদিন মালদায় ফের সিপিএম – কংগ্রেস – বিজেপি আঁতাতের অভিযোগ তোলেন মমতা। বলেন, ‘ভোট ভাগ হতে দেবেন না। সিপিএমকে ভোট দেবেন না। অনেক দিয়েছেন। সিপিএম – কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।’