বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে হিংসা ছড়িয়ে পড়ল জেলায়। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির। তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথস্তরের এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। আরও তিনজন মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টা বাংলার বুকে পৃথক এই দুটি ঘটনা ঘটেছে। ভোটের আগে এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে জেলায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি গৌতম ঘোষের দেহ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। বুধবার সকালে এই ঘটনা দেখে চমকে যান সকলে। পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে নিজের বাড়ির অদূরেই এই অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। তার আগের দিন রাত থেকেই তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত দেখছে পরিবার।
তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি গৌতম ঘোষের ছেলে শুভ অভিযোগ করেন, ‘বাবাকে বিজেপির লোকজন খুন করেছে। কয়েকদিন ধরেই বাবার কাছে হুমকি ফোন আসছিল। সেই হুমকি আসছিল বিজেপির পক্ষ থেকে। গতরাত ১১টা নাগাদ একটি ফোন পেয়ে বাবা বাড়ির বাইরে গিয়েছিল। তারপর থেকে তার কোনও খোঁজ ছিল না।’ যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ থানায় দায়ের হয়নি। ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেলে বিজেপি জানিয়েছে, এটা তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করলেও তা অস্বীকার করেছে বিজেপি। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। অন্যদিকে শৌভিক দলুই নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর তিনজন গুরুতর জখম হয়েছেন বলেও অভিযোগ। শৌভিক দলুইকে পিছন থেকে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর বোমা ছোঁড়ায় গুরুতর জখম হয়েছেন সীতারাম মুর্মু নামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মী। সেই ঘটনায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।