তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হলেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোসারফ হোসেন ওরফে মধু। বুধবার তাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন দলের জেলা সভাপতি আবু তাহের। তাঁর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় গরহাজির থাকার মতো গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উঠেছিল।
এদিন মধুবাবুকে যখন দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তখন তিনি জেলার নওদায় একটি রাস্তার উদ্বোধন কর্মসূচিতে ছিলেন। তখনই সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা সভাধিপতি আবু তাহের বলেন, ‘এদিন জেলার পরিষদের সদস্যদের একটা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকেও গরহাজির ছিলেন মোসারফ হোসেন। এর পর বাকি সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন। আমরাও দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে পরিচিত মোরাসফ হোসেনের সঙ্গে তৃণমূলের বিবাদ শুরু শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে থেকে। দলের নির্দেশ অমান্য করে খড়গ্রামে প্রয়াত জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হোসেনের স্মরণসভার আয়োজন করেন তিনি। অরাজনৈতিক সেই মঞ্চে প্রধান বক্তা ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তার পর থেকে দলের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। এর মধ্যে তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেয় প্রশাসন। যার পর রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন মোশারফ সাহেব। এমনকী সম্প্রতি জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেও দেখা যায়নি তাঁকে। এর পর জেলা তৃণমূলের অন্দরে তুমুল হট্টগোল শুরু হয়।
রাজনৈতিক মহলের মতে শুভেন্দুর মতো মোশারফ হোসেনও দলের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন। দল আগে তাঁকে বহিষ্কার করে না তিনি আগে তৃণমূল ছাড়েন সেটাই ছিল শুধু দেখার। সেই ধৈর্যের লড়াই জয় হল মোসারফ সাহেবেরই। শুভেন্দুর হাত ধরে তাঁর বিজেপিতে যাওয়া সময়ের অপেক্ষা বলেই মত বিশেষজ্ঞেদের।