গত শুক্রবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন টলিউড অভিনেতা বাংলা ওয়েবসিরিজের পরিচিত মুখ সৌরভ দাস। আর রবিবার রাজ্যের শাসকদলে যোগ দিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তৃণমূলে এলেন ইম্পার (ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন) প্রধান পিয়া সেনগুপ্ত। এদিন তৃণমূল ভবনে রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের হাত থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে নেন পিয়া সেনগুপ্ত ও কৌশানী মুখোপাধ্যায়।
লোকসভা নির্বাচনের পরপরই টলিউডের অনেকেই যোগ দেন বিজেপি–তে। এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলে শিল্পীদের পাল্লা ভারী করতে শুরু করল তৃণমূল। তৃণমূলে যোগ দিয়ে এদিন কৌশানী বলেন, ‘এখন যা টালমাটাল অবস্থা, আমার মনে হল এটাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঠিক সময়। ছোট থেকেই আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভক্ত। আমার গোটা পরিবার তৃণমূল দলটিকেই অনুসরণ করে। তাই তৃণমূলের কাণ্ডারী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের যজ্ঞে সামিল হওয়া আমার কাছে সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমি চাই আমায় দেখে অনেক তরুণ–তরুণী অনুপ্রাণিত হোক। তাঁরাও এগিয়ে আসুক।’
জনপ্রিয় অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমার প্রথম ছবি ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ছাড়তে পারব না আমি। আমি অভিনেত্রী হিসেবে যতটুকু পেরেছি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছি। দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমি আরও মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।’
পরিচালক অনুপ সেনগুপ্তর স্ত্রী ও প্রয়াত অভিনেতা সুখেন দাসের মেয়ে পিয়া সেনগুপ্ত এদিন তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন, তাঁর সবার পাশে থাকাকে দেখে আজ তৃণমূলে যোগ দিলাম। সমস্ত কর্মীদের সঙ্গে আমি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। তৃতীয়বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখার অঙ্গীকার আমার রইল। আর তার জন্য আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে আমি লড়াই করব।’
শনিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে অপমানিত হয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গও এদিন তুলে ধরেন পিয়া। তিনি বলেন, ‘যে ভাবে সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে তার প্রতিবাদ, ধিক্কার জানাচ্ছি।’ একইসঙ্গে যুব নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘অভিষেকের নাম অনেক মন্তব্য শুনি। আসলে যে কাজ করে তাঁরই সমালোচনা হয়।’