পুলিশ সুপারের সঙ্গে বসে চক্রান্ত করে কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গোটা চক্রান্তের মাথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ক্ষমতায় ফিরলে এই তদন্ত করাবেন তিনি। খুঁজে বার করবেন সত্য ঘটনা। সোমবার ভোটপ্রচারে এমনই দাবি করলেন তৃণমূলনেত্রী। যদিও তার পরই প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগে মমতাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কমিশন।
মমতার দাবি, শীতলকুচির ঘটনা পুরোটাই পরিকল্পিত। তাঁর দাবি, এই ষড়যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে একটি মেয়েকে। মমতা বলেন, ‘এক মহিলাকে এই ষড়যন্ত্রের অংশ করা হয়েছিল। মমতার অভিযোগ, আগে থাকতে ঠিক ছিল যে বাচ্চা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে এক মহিলা বুথে গিয়ে উত্তেজনা তৈরি করবে। তাতে হট্টগোল শুরু হলে গুলি চালাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।’
মমতার দাবি, শনিবার কারা গুলি চালিয়েছিল তার পুরো তালিকা তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। মমতার দাবি, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। মানুষকে প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। গোটাটাই অমিত শাহ করেছেন। আমি এখনও বিশ্বাস করি, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ষড়যন্ত্র করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জানেন। গুলি করে খুন করার পর উনি ক্লিনচিট দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর এটা শোভা পায় না।’
এদিন মমতাকে জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কল্যাণীতে এক জনসভা থেকে তিনি মন্তব্য করেন, ‘পরাজয় সম্মুখে দেখে নতুন রণকৌশল তৈরি করছেন দিদি। তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিকে ভোট দিতে দিচ্ছেন না। ওই শ্রেণির মানুষের ভোটদান রুখে, নিজের গুন্ডাদের দিয়ে ছাপ্পাভোট দেওয়ানোর ষড়যন্ত্র করছেন। তার জন্যই প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করতে বলা হচ্ছে। যাতে দিদির বাকি সমর্থকরা সেই সুযোগে বুথে ঢুকে ছাপ্পা ভোট দিতে পারে। কোচবিহারে যা হয়েছে, তা দিদির এই ছাপ্পাভোট মাস্টারপ্ল্যানের অংশ।’