এই মাটিতে কান পাতলে শোনা যায় বিপ্লবের নানা কথা। এই মাটিই একদিন কৃষকের রক্তে ভিজেছিল। এই মাটিতেই শুরু হয়েছিল নকশালবাড়ি আন্দোলনের স্বপ্ন বোনা। এই বিধানসভা কেন্দ্রের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে সেই নকশালবাড়ি নাম। এই কেন্দ্রের একটি নির্দিষ্ট এলাকা নকশালবাড়ি। নির্দিষ্টভাবে সেই বুথের ফলাফল জানা যায়নি এখনও। তবে এতদিন সেই মাটিগাড়া নকশালবাড়ি ছিল কংগ্রেসের। এবার সেই বিধানসভাকেন্দ্রেই পোস্টাল ব্যালটের প্রথম পর্যায়ে এগিয়ে গেল বিজেপি।
এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী আনন্দময় বর্মন আপাতত কিছুটা এগিয়ে রয়েছেন পোস্টার ব্যালটের গণনার প্রথম পর্যায়ে। পিছিয়ে গিয়েছেন সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী। অন্যদিকে অতীতে নকশালবাড়ি আন্দোলনের অভিঘাত পৌঁছে গিয়েছিল ফাঁসিদেওয়া এলাকাতেও। সেই কেন্দ্রেও দেখা যাচ্ছে পোস্টাল ব্যালটের গণনার প্রথম পর্যায়ে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এক নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে এই ফলাফল।এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতেও পোস্টাল ব্যালটের গণনার প্রথম পর্যায়ে কিছুটা পিছিয়ে যান বিদায়ী মন্ত্রী গৌতম দেব যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে গত কয়েকবছর ধরে নকশালবাড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে আরএসএস। বিজেপিও এলাকাগুলিতে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে শুরু করে। তবে কি তার সুফল পাচ্ছে বিজেপি? এর সঙ্গেই দুর্বল হতে শুরু করে বামেদের শক্তি। তৃণমূলও সেভাবে শক্তিবৃদ্ধি করতে পারে নি। তবে কী এবার শেষ হাসি হাসবে বিজেপি?