পোস্টাল ব্যালটের প্রথম পর্যায়ে কোচবিহারের একাধিক আসনে কিছুটা এগিয়ে বিজেপি। তবে ভোটের অন্তিম ফলাফল এখনই বলা যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত বিজেপি তাদের জয়ের ধারা বজায় রাখতে পারবে কিনা তা বেলা গড়ালে বোঝা যাবে। তবে প্রথম পর্যায়ে যেভাবে তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট পিছিয়ে রয়েছেন তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে শাসক শিবিরের কপালে। তবে আশার কথা শীতলকুচি আসনে প্রথম রাউন্ডের গণনা শেষে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী পার্থপ্রতীম রায়। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৬ হাজার ৪১৫। এই কেন্দ্রে প্রথম রাউন্ডের গণনায় বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ৬ হাজার ১৮৪। এই কেন্দ্রেই ভোটের দিন বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল ৪জনের। তুফানগঞ্জেও কিছুটা এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী মালতী রাভারায়। পোস্টাল ব্যালটের প্রথম পর্যায়ে কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন নাটাবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর বিপক্ষে রয়েছেন তাঁরই একসময়ের সহকর্মী মিহির গোস্বামী। তবে এই ফলাফল দ্রুত বদলে যেতে পারে।
দিনহাটা কেন্দ্রে কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ। এই আসনে তাঁর বিপরীতে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। তবে কোচবিহা দক্ষিণ কেন্দ্রে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। কোচবিহার উত্তর কেন্দ্রেও এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। সব মিলিয়ে ৯টি আসনের মধ্যে আপাতত ৫টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। তবে দ্রুত বদলাচ্ছে ফলাফল। প্রসঙ্গত গত লোকসভা নির্বাচনে যথেষ্ট ভালো ফল করে বিজেপি। অসম সংলগ্ন রাজ্যের এই প্রান্তিক জেলায় ধীরে ধীরে সংগঠনকে শক্তিশালী করে বিজেপি। কিন্তু তৃণমূলের প্রভাবকেও অস্বীকার করা যায় না এই জেলায়। বিশেষত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। সেক্ষেত্রে শেষ হাসি কার তা বলবে সময়।