পরনে লাল পেড়ে সবুজ দক্ষিণ ভারতীয় সিল্ক। মঞ্চে নেচে চলেছেন ৯০-এর ‘তরুণী’ বৈজন্তীমালা। আসলে নবতিপর বৈজন্তীমালার শরীরে বার্ধক্য জমলেও, উৎসাহ আর প্রতিভার মেলবন্ধন হার মানল সেই প্রতিবন্ধকতার কাছে। তিনি প্রমাণ করেদিলেন বয়স শুধুই একটা সংখ্যা।
ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম আইকন বৈজন্তীমালা বালি। তিনি যত বড়মাপের অভিনেত্রী, তার চেয়েও বড়মাপের নৃত্যশিল্পী। অভিনয় জগৎ থেকে ছুটি নিলেও নাচকে এই বয়সেও আঁকড়ে ধরে রয়েছেন। ভারতনাট্যমে তাঁর অগাধ পারদর্শিতা। তিনিই হিন্দি সিনেমাকে দিয়েছেন, সেমি-ক্ল্যাসিক্যাল ডান্স-ফর্ম। সম্প্রতি সোশ্যালে ভাইরাল বৈজয়ন্তীমালার এক ভিডিয়ো। সেখানে কর্নাটক রাগ সংগীতের তালে নাচতে দেখা গেল ৯০ বছর বয়সী অভিনেত্রীকে। তাঁর হাতের মুদ্রা হোক বা মুখভঙ্গিমা, কোনওকিছু থেকেই চোখ ফেরানো দায়!
এই ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন এক জনৈক। প্রায় ২ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন এই ভিডিয়ো। এক নেটিজেন লেখেন, ‘বেঁচে থাকলে এই বয়সে তো আমি হাঁটা-চলাও করতে পারব বলে মনে হয় না। আর উনি মঞ্চে নাচছেন! অভাবনীয়, অসাধারণ প্রতিভা’। কেউ কেউ স্বচোক্ষে বৈজন্তীমালার নাচ দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।
নিখুঁত ছন্দে, অপরূপ ভঙ্গিমায় মঞ্চে নেচে চলেছেন বৈজয়ন্তীমালা। তাঁর টানা চোখের দীপ্তি চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে দর্শকদের। এই ভিডিয়ো দেখে অনেকেই নস্টালজিয়ায় ভাসছেন।
১৯৪৯ সালে, মাত্র ১৬ বছর বয়সে তামিল ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেন বৈজয়ন্তীমালা। 'নাগিন' সিনেমার হাত ধরে বলিউড চিনেছিল তাঁকে। হিন্দি, তামিল, তেলুগু, তিন ভাষার ছবিতেই দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। নাচের প্রতি বৈজন্তীমালার টান সেই ছোট থেকে। মাত্র ৭ বছর বয়সে ভ্যাটিক্যান সিটিতে গিয়ে পারফর্ম করেছিলেন। সাত বছর বয়সে তিনি যতটা মুগ্ধ করেছিলেন, ৯০ পেরিয়েও বৈজন্তীমালাতে ততটাই মুগ্ধ দর্শকরা। ৮৩টা বছর যেন এক লহমায় পার করে ফেলেছেন তিনি। ভক্তরা তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন।