তাঁর ছবিতে থাকে অনুভূতির এক অনন্য ছোঁয়া। ‘চিনি কম’, ‘পা’, ‘কি অ্যান্ড কা’ পরিচালক আর বাল্কি এবার হাজির ‘ঘুমর’ নিয়ে। বাল্কির ছবি মানেই তাতে থাকবে বচ্চন কানেকশন। পরিচালকের সব ছবির অংশ থেকেছেন অমিতাভ বচ্চন, এই ছবিতেও ক্যামিও চরিত্রে রয়েছেন বিগ বি আর লিড রোলে অভিষেক বচ্চন। শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। আশ্চর্যের বিষয় হল ‘ঘুমর’ ছবির শুরুতেই পর্দায় ভেসে উঠে অভিষেকের ১১ বছর বয়সী কন্যা আরাধ্যা বচ্চনের নাম। আরাধ্যা এবং ঐশ্বর্যর নাম উল্লেখ করে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন পরিচালক। রয়েছে ‘রাবতা’ পরিচালক দীনেশ বিজয়নের নামও। কিন্তু কেন?
এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক জানান, ‘এই ছবিতে তাঁদের অবদান ভোলার নয়। বিভিন্নভাবে তাঁরা এই ছবির অংশ থেকেছেন। কেউ মার্কেটিং আবার কেউ ডিস্ট্রিবিউশন, আবার অনেকে আইডিয়া দিয়েছেন-- আইডিয়া দেওয়াটা কম বড় অবদান নয়’।
আরাধ্যার নাম কেন রয়েছে, সেই ব্যাপারে জানতে চাওয়া বলিউড হাঙ্গামাকে পরিচালক বলেন, ‘আসলে আরাধ্যা একটা খুব সুন্দর আইডিয়া শেয়ার করেছিল। খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা দৃশ্যে অভিষেককে নাচ করার পরামর্শ দেয় সে। গল্প শোনবার সময়ই আরাধ্যা জানায়, পাপা, তুমি এখানে নাচলে কেমন হবে? আমার মনে হয়েছিল ভাবনাটা দুর্দান্ত, আমি সেটা ছবিতে অন্তর্ভুক্ত করতে দেরি করিনি’। পরিচালক যোগ করেন ছবির মার্কেটিং-এর পরিকল্পনায় বিশেষ অবদান রেখেছেন রাই সুন্দরী।
ঘুমর-এ অভিষেকের পাশাপাশি লিড রোলে অভিনয় করেছেন সায়ামি খের। ব্যর্থ-মদ্যপ ক্রিকেটার অভিষেকের হাত ধরে কীভাবে দেশের জার্সিতে খেলবার স্বপ্নপূরণ হবে এক হাত কাটা সায়ামির সেই গল্পই উঠে এসেছে ‘ঘুমর’-এ। ছোট থেকেই ক্রিকেটই সায়ামির ধ্যান-জ্ঞান। দুর্দান্ত এই ব্যাটার টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলবার সুযোগও পায়। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস! সড়ক দুর্ঘটনার পর এক হাত বাদ পড়ে তাঁর। এরপর ব্যাট ছেড়ে একহাতে বল তুলে নেবে সে। মদ্যপ কোচের হাত ধরেই শুরু হবে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই।
এই ছবিতে স্পেশ্যাল অ্যাপিয়ারেন্সে রয়েছেন অমিতাভ। ধারাভাষ্যকার হিসাবে দেখা মিলছে তাঁর। ছবি দেখে অঝোরে কেঁদেছেন বিগ বি। তাঁর কথায়, 'এই ছবির অনুভূতি জড়িয়ে রয়েছে ক্রিকেট খেলা এবং একটি মেয়ের স্বপ্নের সঙ্গে। তবে শেষ পর্যন্ত খেলার মধ্যেই সবটা সীমিত থাকে না, পরিবারের এফেক্ট, মায়ের প্রভাব, নিখাদ মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প হয়ে ওঠে এটা। এই গল্পের মূল আকর্ষণ এটাকে সহজ সরল ভাবে বলার ধরন। যাঁরা জয়ী হন এবং হেরে যান যাঁরা তাঁদের অন্তরের জটিল ভাবনা এখানে ফ্রেমবন্দি হয়েছে। আমরা সকলেই কম বেশি জীবনে কখনও না কখনও সেই অনুভূতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। সেগুলোকে পরিচালক এখানে একদম সহজ ভাবে তুলে ধরেছেন।'