গত বছর হঠাৎ করেই শঙ্কর চক্রবর্তীর পরিবারে এসেছিল সেই খারাপ খবরটা। স্ত্রী সোনালীকে হারিয়েছিলেন অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী। দিনটা ছিল ৩১ অক্টোবর। সোনালী চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর দেখতে দেখতে একবছর পারও হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তীকে ঘিরে ধরেছে শুধুই নিঃসঙ্গতা। শধু অভিনেতাই নন, মাকে ছাড়া এক্কেবারেই ভালো নেই তাঁদের একমাত্র মেয়ে সাঝি।
সম্প্রতি টিভি9 বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রয়াত স্ত্রী সোনালীরই স্মৃতি চারণা করেছেন শঙ্কর চক্রবর্তী। অকপটে অভিনেতা জানিয়েছেন, স্ত্রী সোনালীকে ছাড়া বাড়িতে থাকতে তাঁর সত্যিই অসুবিধা হয়। কাজ সেরে তিনি যখন বাড়িতে ঢোকেন, তখন এক্কেবারেই নিঃসঙ্গ। তাঁদের মেয়ে কলকাতায় থাকেন না, থাকেন মুম্বইতে। অভিনেতা জানান, তিনি সারাদিন কাজ করেন, স্টুডিওপাড়াতেই সময় কাটে। অভিনেতার কথায়, ‘সারাদিন কাজের শেষে রাতে যখন বাড়িতে ঢুকি, তখন ঘরটা ফাঁকা, অস্বস্তি হয়, এখন বাড়িটা গিলতে আসে। ঠিক কেমন লাগে বলে বোঝাতে পারব না।’
আরও পড়ুন-'সেদিন হঠাৎ করেই জয়াকে বিয়েটা করে ফেলি', হঠাৎ কেন বললেন অমিতাভ!
আরও পড়ুন-৯০-এর দশকে উদিত নারায়ণ ছিলেন তাঁর শত্রু! মুখ খুললেন কুমার শানু
অভিনেতা জানান, স্ত্রী সোনালীর মৃত্যুর পর তিনি একবার বাড়িটা ছেড়ে দেবেনও ভেবেছিলেন। তবে তাতে আপত্তি রয়েছে মেয়ের। শঙ্কর চক্রবর্তীর কথায়, ‘বাড়ি ছেড়ে যাবই বা কোথায়! আমাদের শোয়ার ঘরে ঢুকলে অস্বস্তি হতে থাকে। টিভি চালিয়ে দিই তখন, কবিতার বই পড়ি। সোনালীর লেখা একটা কবিতার বই আছে, সেটার একটা পাতাও আমি ওল্টাতে পারি না।’
প্রসঙ্গত, স্ত্রী কবি মল্লিকা সেনগুপ্তের মৃত্যুর পর কবি সুবোধ সরকার কবিতা লিখেছিলেন, ‘মৃত্যুর আগে তুমি কাজল পরেছিলে’। সেই কবিতার প্রসঙ্গ ধরেই প্রশ্ন আসে স্ত্রীর লেখা আত্মজীবনীতেও কি নিজেকে খুঁজে পান? উত্তরে শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘পড়তে পারি না, পড়তে গেলেই এমন কান্না পায়…।’
প্রসঙ্গত, গত বছর ৩১ অক্টোবর এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল অভিনেত্রী সোনালী চক্রবর্তীর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছিল লিভার ক্যানসার হয়েছিল সোনালীর।