ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন ছেলে জুনিয়র চিরঞ্জীবী সারজার সঙ্গে সকলের পরিচয় করালেন অভিনেত্রী মেঘনা রাজ। ১৪ ফেব্রুয়ারি ঠিক রাত ১২টায় একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন তিনি। ভিডিওতে উঠে আসে তাঁর এবং চিরঞ্জীবীর পথ চলার স্মৃতিচারণের গল্প।
২০১৭ সালে ২২ অক্টোবর বাগদান পর্ব সারেন দুজনে। এরপর তিন বছর পরে একই দিনে মেঘনার কোল আলো করে আসেন তাঁদের পুত্র সন্তান। তবে সেই মিষ্টি মুহূর্তে পাশে থাকার ভাগ্য হয়নি চিরঞ্জীবীর। ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন ছেলের ছবি প্রথমবার পোস্ট করেন মেঘনা। যাঁকে তিনি জুনিয়ার চিরঞ্জীবী এবং সিম্বা বলে ডাকেন। মেঘনা এবং চিরঞ্জীবীর জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি উঠে এসেছে এই ভিডিওতে। যা দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না প্রয়াত অভিনেতার ভক্তরা।
১ মিনিট ৪ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে মেঘনা-চিরঞ্জীবীর বাগদান পর্বের মুহূর্তের ছবি সবার প্রথমে উঠে এসেছে। সেখানে তাঁদের দুজনের একে-অপরের প্রতি ভালবাসার আত্মপ্রকাশ দেখা গেছে। বাগদানের তিন বছর পর একই দিনে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন মেঘনা। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ছেলে জন্মের চার মাস আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান চিরঞ্জীবী সারজা। এরপরই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট চিরু তাঁর প্রথম শ্যুটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।
ভিডিও পোস্ট করে মেঘনা লিখেছেন, ‘ছোট্ট রাজপুত্রে সঙ্গে সাক্ষাৎ করাচ্ছি! জন্মের আগে থেকেই তুমি আমাকে ভালবাসো। যখন আমরা প্রথম বার দেখা করি আমি তোমাকে মন থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভালবাসার ভরিয়ে দেওয়ার জন্য, সমর্থন করার জন্য মা এবং বাবার তরফ থেকে। তোমরা আমার পরিবার এবং পরিবারকে নিঃশর্ত ভাবে ভালবাসি। ভালবাসি তোমাদের সকলকে’।
চিরঞ্জীবী সারজার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন
গত বছর ৭ জুন হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যু হয় অভিনেতা চিরঞ্জীবী সারজার। তাঁর অভিনেত্রী স্ত্রী মেঘনা সেই সময় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মেঘনা জানিয়েছিলেন, চিরঞ্জীবীর স্বপ্ন ছিল সন্তানকে কোলে নিয়ে আইকনিক ছবি লায়ন কিং-এর মতো পোজ দেবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি লায়ন কিং দেখার পর কেঁদে ফেলেছিলাম। যে হাসপাতালে আমি চেক-আপ করতে যেতাম সেখানে চিরু একটি নির্দিষ্ট বারান্দা ঠিক করে রেখেছিল। ও আমাকে বলেছিল সন্তান জন্মাবার পর কোলে নিয়ে সারা পৃথিবীকে ওখানে দাঁড়িয়ে দেখাতে চায়। তবে আমি শিখেছি সব পরিকল্পনা সত্যি হয় না’।
চিরঞ্জীবীর মৃত্যু মেঘনা এবং তাঁদের পরিবার এবং বন্ধুদের কাছে একটা বড়সড় ধাক্কা। অভিনেতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন পুরো কানারা ইন্ডাস্ট্রি।