বিয়ে আসন্ন, এবার শুরু হয়েছে রূপাঞ্জনা মিত্রর আইবুড়ো ভাত পর্ব। ভালোবেসে ৬ বছর আগে পরস্পরের হাত ধরেছিলেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। অবশেষে প্রজাপতি ঋষির আর্শীবাদ নিয়ে, অগ্নিসাক্ষী করে এই বৈশাখে চারহাত এক হবে রাতুল-রূপাঞ্জনার। ১৯ এপ্রিল হচ্ছে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান। আপাতত চলছে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র লাবণ্য'র আইবুড়ো ভাত পর্ব।
ইদের আগের দিন ছেলেবেলার এক বান্ধবী শহরের এক নামী বাঙালি রেস্তোরাঁয় রূপাঞ্জনা ও তাঁর হবু বর রাতুলকে আইবুড়ো খাইয়েছিলেন। আর এবার তাঁদের আরও একবার আইবুড়ো ভাত খাওয়ালেন হবু বর রাতুলের বন্ধু প্রতীশ ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী পূজা। শহরের এক নামী রেস্তোরাঁয় প্রথা মেনে এই আইবুড়োভাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতীশ ও তাঁর স্ত্রী পূজা এদিন রূপাঞ্জনা ও রাতুলকে ধান-দুর্বা দিয়ে আশীর্বাদও করেন। তারপর হয় পায়েস দিয়ে মিষ্টি মুখ। মেনুতেও ছিল নানান রকম বাঙালি পদ। এদিন রূপাঞ্জনাকে কালো সালোয়ার কামিজ ও রাতুলকে সাদা ট্রাডিশনাল পাঞ্জাবিতে দেখা যায়। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে বন্ধু প্রতীশ ও বন্ধুপত্নী পূজাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাতুল মুখোপাধ্যায় ও রূপাঞ্জনা মিত্র।
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রায় ১৭ বছর আগের কথা। ভালোবেসে রেজাউল হককে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। তবে ছেলের জন্মের পরপরই দূরত্ব তৈরি হয় দুজনের। ২০১৭ সালে আইনি বিচ্ছেদ হয় তাঁদের। রূপাঞ্জনার যখন প্রথম বিয়ে ভাঙে তখন তাঁদের ছেলে রিয়ান (রূপাঞ্জনা পুত্র)এর বয়স ছিল মাত্র চার। ‘বাবা’ হিসাবে রেজাউলকে সেভাবে কাছে পায়নি রিয়ান। তবে সেই অভাব পূরণ করেন রাতুল।
দীর্ঘ ৬ বছর প্রেমপর্বের পর গত বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি মিরিকের ডন বস্কো চার্চে আংটি বদলটা সেরেছিলেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। সেই ঘটনার একমাত্র সাক্ষী ছিল ছেলে রিয়ান। তাঁদের কথায় ছেলের মুখ চেয়ে তাঁরা বিয়েটা সারছেন। রাতুলের বিশ্বাস রূপাঞ্জনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করে রিয়ান। রাতুলের কথায়, 'ওকে ঘিরেই তো সবটা। আমাদের (বিয়ের) এই সিদ্ধান্ত, আমাদের সম্পর্কে রিয়ানের অবদান অনেকটা।'
১৯তারিখ বসছে বিয়ের অনুষ্ঠান। অগ্নিসাক্ষী রেখেই সাত পাক ঘুরবেন, ওইদিনেই হবে রেজিস্ট্রি। তবে বিয়ে-রিসেপশন একই দিনে হচ্ছে। বিয়ের পর ছেলে রিয়ানকে নিয়েই মধুচন্দ্রিমায় যাবেন রূপাঞ্জনা। তাডোবা হয়ে গোয়া বেড়াতে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁদের।