শরীর নিয়ে ছুঁৎমার্গ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শোনা গেলেও নিজেকে নিয়ে বরাবরই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। অভিনয় জগতে আসার পর একাধিক সময় গায়ের রং নিয়ে কটাক্ষের শিকার হয়েছেন ‘রাঙা বউ’ নায়িকা। ‘খুঁত’ দেখিয়ে নিজের হাসিমুখের একটি ছবি পোস্ট করলেন শ্রুতি। সেখানেই জানিয়েছে কীভাবে মায়ের থেকে ‘আত্মবিশ্বাসী’ হওয়ার সাহস পেয়েছেন।
নিজের একটি হাসিমুখের ছবি পোস্ট করে শ্রুতি লিখেছেন, ‘ভাগ্যিস আমি ছোটবেলায় লোকের কথা শুনে দাঁতে ক্লিপ করাইনি। মা বলে ঠোঁট চেপে হাসবি না মুখ খুলে হাসবি প্রাণ খুলে একদম দাঁত বের করে। তুই সব দিক থেকে সুন্দর’। একই সঙ্গে অভিনেত্রীর মন্তব্য, ‘সবাই বলে,এতো মানুষ তোমার উইলঅপাওয়ার ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে তাও তুমি এতো স্ট্রং কিকরে দিদি?’ আরও পড়ুন: জুটি বাঁধছেন সোহমের সঙ্গে, মার্চেই শুরু শ্যুটিং, টলিউডের ছবিতে দেখা যাবে পরীমণিকে
অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘কারণ আমার মা আমায় কখনও বুঝতেই দেয়নি যে আমি কোনো অংশে দুর্বল। আমার কোনো খুঁত থেকে থাকলেও বুঝিয়ে এসেছে চাঁদের গায়েও কলঙ্ক আছে। তাই মা জানলার পাশ থেকে আসা চাঁদের আলোয় এখনও আমার ঘুমন্ত মুখ দেখে আর শান্তিতে আদরে বুকে টেনে নেয় আবার চুপিচুপি আদরও করে। আমি কিন্তু টের পাইনা। আমি অনেক পরে জেনেছি। এটা নাকি মায়ের অভ্যেস। কারণ আমার মা সারাদিন বাবু বাবু মেয়ে মেয়ে করে না খালি দুই বোনের মতো ঝগড়া মান অভিমান খুনসুটি চলে। তবে এই বেশ ভালো আছি’। (অপরিবর্তিত) আরও পড়ুন: পরিবারের মধ্যে সবথেকে ‘উজ্জ্বল’ রাহা, আলিয়ার মেয়েকে নিয়ে অজানা কথা ফাঁস করল মাসি পূজা
আসলে, দাঁতের গঠন ভালো না হলে নাকি মুখের আদল খুব একটা খোলে না। দাঁতের গঠন সুসজ্জিত না হলে কিছু সংখক মানুষ বেশ চিন্তায় থাকেন। কারও দাঁত উঁচু নিচু, আবার কিছু মানুষের জন্ম থেকেই দাঁতের মাঝে ফাঁকা থাকার ফলে একটা অস্বস্তি থাকে নিজের মধ্যে। অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা বাচ্চাদের বাবা-মায়েদের পরামর্শ দেন, ছোট থেকেই দাঁতে ক্লিপ পরিয়ে রাখতে। যদিও শ্রুতি জানান, দাঁতের গঠন খানিকটা উঁচু-নিচু হলেও তাঁর ক্ষেত্রে সেসব কিছুই হয়নি। বরং এসব অযাচিত চর্চা থেকে তাঁকে দূরেই রেখেছিলেন তাঁর মা। কী করে এত ‘স্ট্রং’ তিনি, পোস্টে ফাঁস করেন সেকথাও।
নন্দিতা রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ‘আমার বস’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন নায়িকা। এই ছবির মাধ্যমে প্রথম বার বড় পর্দায় তাঁকে দেখবেন দর্শক। শ্রুতিকেও প্রথম বার বড় পর্দায় দেখার অপেক্ষায় তাঁর অনুরাগীরা।