আপাতত টলিপাড়ার অন্যতম বড় খবর, ছাদনাতলায় যাচ্ছেন আদৃত রায় আর কৌশাম্বি চক্রবর্তী। মিঠাই ধারাবাহিকের কাজ করার সময়ই একে-অপরের কাছাকাছি আসেন। তবে প্রেম নিয়ে গোপনীয়তা ধরে না রাখলেও, প্রকাশ্যে সেভাবে কখনোই কথা বলেননি একে-অপরকে নিয়ে। ভুলেও স্বীকৃতি দেননি সম্পর্ককে। কৌশাম্বির মুখে তাও কিছুটা আভাস পাওয়া গেলেও, আদৃত একেবারে ‘স্পিকটি নট’।
৯ মে ছাদনাতলায় যাচ্ছেন, সংবাদমাধ্যমকে জানান ফুলকির পারোমিতা ওরফে কৌশাম্বি। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে একটি ছবি দিলেন উচ্ছেবাবু। যেখানে দেখা গেল, পরে আছেন একটি কালো টি-শার্ট আর জিন্স। বহুতলের জানলা থেকে তাকিয়ে আছেন বাইরের দিকে। চোখে সানগ্লাস। নিজের নতুন সিনেমার পাগল প্রেমীর জন্য কদিন আগেও ছিল তাঁর এক মুখ দাঁড়ি। তবে এখন মুখে ফ্রেঞ্চ কাট। লিখলেন, ‘ক্যাপশন দেওয়ার দরকার নেই। একটু কুল হওয়ার চেষ্টা করলাম আর কী’!
সামাজিক মাধ্যমে খুব কম পোস্ট করেন আদৃত। সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরেই রাখেন নিজেকে। তাই উচ্ছেবাবু-র নতুন ছবি পেতেই, আহ্লাদে আটখানা তাঁর অনুরাগীরা। একজন মন্তব্য করেছেন, ‘তুমি বরাবরই কুল। তোমার আর আলাদা করে কুল সাজার দরকার পড়ে না।’ দ্বিতীয়জন লিখলেন, ‘দাদা তোমার বিয়ের খবরটা কি সত্যি?’ তৃতীয়জন লিখলেন, ‘এবার অন্তত কৌশাম্বিদির সঙ্গে ছবি দাও।’ চতুর্থজনের মন্তব্য, ‘তোমার বিয়ের খবর পেলাম আমার ভালোবাসা। মিস করব খুব।’

মিঠাই ধারাবাহিক চলাকালীনও খবর ছিল দীর্ঘদিনের প্রেমিক সুপ্রিয়ার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন আদৃত। তারপর দুজনের ছাড়াছাড়ির খবর আসে। আদৃতও ভালোবেসে ফেলেন মিঠিয়া-র তাঁর দিদিয়া থুরি দিদির চরিত্রে অভিনয় করা কৌশাম্বিকে।
সেইসময় এই সম্পর্ক নিয়ে কম কাঁটাছেড়া হয়নি। মিঠাই চলাকালীন তাঁর আর সৌমিতৃষার অনলাইন কেমিস্ট্রি দেখে অনেকেই আশা করেছিল, বুঝি বা রিলের মতো রিয়েল লাইফেও হবে প্রেম সৌমিতৃষা-আদৃতের। কিন্তু হয়নি সেরকমটা। আর তারপর আদৃত-কৌশাম্বির প্রেমের খবর ছিল গরম তেলে জল পড়ার মতো। সৌমিতৃষার অনুরাগীদের কুৎসিত আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল কৌশাম্বিকে। যা মিঠাই শেষ হওয়ার পরও চলেছিল।
দিনকয়ের আগেই দিদি নম্বর ১-এ এসেছিলেন কৌশাম্বি। সেখানে রচনার প্রশ্নের জবাবে, আদৃতের নাম না নিয়েই, লাজুক হেসে বলেছিলেন, ‘মনের মানুষ আছে মনে’। সঙ্গে অবশ্য জানিয়েছিলেন, বাড়ির লোক জানে তাঁদের সম্পর্ক। সকলের সহমতও আছে এই প্রেমে। আর এখন তো অফিসিয়ালি মিস্টার অ্যান্ড মিসেস হওয়ার পালা।