গত কয়েক মাস ধরে বলিউডের অন্দরে গুঞ্জন চিড় ধরেছে বচ্চন পরিবারে। সেই গুঞ্জন উস্কে বচ্চন ফ্যামিলির দীপাবলির উৎসবে যোগ দিলেন না ঐশ্বর্য! অনান্যবারের চেয়ে এবার খানিকটা ম্যাড়ম্যাড়ে বচ্চন পরিবারের দীপাবলি উদযাপন। তবে নিয়মনীতি মেনে হয়েছে পুজো। যা ঐশ্বর্য-হীন! পুজো শুরুর কয়েকঘন্টা আগেই মেয়েকে নিয়ে শহর ছাড়লেন রাই-সুন্দরী।
চলতি মাসের গোড়াতেই নিজের জন্মদিন উদযাপন করেন অ্যাশ। তাঁর পাশে ছিল শুধু মেয়ে আরাধ্যা ও মা বৃন্দা রাই। দেখা মেলেনি অভিষেক বা বচ্চন পরিবারের অন্য সদস্য়দের। সোশ্যাল মিডিয়ায় খানিক দায়সারা গোছের শুভেচ্ছা জানান অভিষেক, দাবি নিন্দকদের। মণীশ মালহোত্রার দিওয়ালি পার্টিতেও অভিষেককে ছাড়াই পৌঁছেছিলেন রাই সুন্দরী। বচ্চন পরিবারের পুজোর দিনেই কেন শহর ছাড়লেন ঐশ্বর্য? মেয়েকে নিয়ে কোথায় গেলেন তিনি? উত্তর অজানা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ঐশ্বর্য ও আরাধ্যার একটি ভিডিয়ো, সেখানে কালো রঙা সোয়েট শার্ট আর প্যান্টে এয়ারপোর্টে দেখা মিলল বচ্চন বধূর। লাল জাম্প স্যুটে সেজেছেন আরাধ্যা। পাপারাৎজিদের ক্যামেরার সামনে পোজ দিলেন না দুজনেই। তবে ছবি শিকারিদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন অ্যাশ।
রবিবার দীপাবলি উপলক্ষ্যে বচ্চন পরিবারের যে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল তাতে বৌমার দেখা না মিললেও হাজির ছিল মেয়ে শ্বেতা নন্দা। পুজোর দিনে জলসার বাইরে গাড়ির ভিতর বাবার পাশে দেখা মিলল শ্বেতার। নীল রঙা সাবেকি পোশাকে সেজেছিলেন বচ্চন কন্যা। সাদা পোশাকে ঝলমলে অমিতাভ।
এর আগে অমিতাভের জন্মদিনের শুভেচ্ছা পোস্টে নিজের মেয়েকে ছবিতে রেখে, ননদের সন্তানদের বাদ দিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। সেই নিয়েও বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। সত্যি কি বচ্চন পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে ঐশ্বর্যর?
২০০৭ সালে প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী গাঁটছড়া বাঁধেন অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে কমতে থাকে মিসেস বচ্চনের ছবির সংখ্যা। কেরিয়ার ওম্যান নয়, আরাধ্যার মা হিসাবেই এখন নিজেকে মেলে ধরতে চান ঐশ্বর্য। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে এক ছাদের নীচেই থেকেছেন নায়িকা। এত বছর পর আচমকাই সম্পর্কে তিক্ততার গুঞ্জন।
২০১১ সালে আরাধ্যার জন্মের পর অভিনয় থেকে লম্বা ব্রেক নিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। ২০১৫ সালে ‘জজবা’ ছবি দিয়ে কামব্যাক করেন। তারপর হাতেগুনে কাজ করেছেন ‘সর্বজিত’, ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’, ‘ফেনি খান’ আর ‘পন্নিয়িন সেলভান’-এর দুটি পার্টে। আরাধ্যাই এখন ঐশ্বর্যর জীবনের একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান।