'ভারতীয় নই, আমি ব্রিটিশ নাগরিক', অকপটে জানালেন আলিয়া ভাট। হ্যাঁ, অক্ষয় কুমার, ক্যাটরিনা কাইফের মতো আলিয়াও খাতায়-কলমে ভারতীয় নাগরিক নন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এবিষয়ে নিজেই কথা বলেছেন আলিয়া।
সম্প্রতি ‘হার্ট অফ স্টোন’ দিয়ে হলিউডে পা রাখতে চলেছেন আলিয়া ভাট। গ্যাল গ্যাডট, জেমি ডরনান-দের সঙ্গে দেখা যাবে আলিয়াকেও। এই ছবিতে কিনা নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছেন আলিয়া। সম্প্রতি ছবি নিয়ে নেটফ্লিক্সের একটি প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন আলিয়া। আর সেখানেই সবথেকে বেশি গুগল করা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ‘ভাট কন্যা’।
এদিন গাল গ্যাডট আলিয়াকে প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি ব্রিটিশ?’ তারই উত্তর দিতে গিয়ে ‘হ্যাঁ’ বলে সম্মতি প্রকাশ করেন আলিয়া। বলেন, ‘আমার মায়ের জন্ম বার্মিংহামে, যদিও আমি ভারতে জন্মগ্রহণ করেছি এবং বড় হয়েছি।’ যখন গ্যাডট তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘উনি (আলিয়ার মা) আপনার সঙ্গে সারা জীবন আপনার ব্রিটিশ ইংরেজিতে কথা বলেছেন?’, আলিয়া উত্তর দিয়েছিলেন, ‘আমার দিদা সারাজীবন ইংল্যান্ডে ছিলেন তাই আমার দিদার মধ্যে ব্রিটিশ ইংরেজি উচ্চারণই থেকে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন-'গলা জড়িয়ে বলবে ভীষণ ভালোবাসি, তবে আসলে সে সবই নকল', বলিউড নিয়ে বিস্ফোরক সানি দেওল
আরও পড়ুন-‘কিচ্ছুটি ভুলিনি, আমিই এই ইন্ডাস্ট্রির শেষ মুঘল’, একথা কেন বললেন আশা ভোসলে
প্রসঙ্গত নাগরিকত্ত্ব প্রসঙ্গেই একবার এক সাক্ষাৎকারে আলিয়ার মা সোনি রাজদান বলেন, ‘আমি UK-তে জন্মগ্রহণ করেছি কিন্তু যখন আমার বয়স তিন মাস, আমি মুম্বইতে চলে আসি। আমার মা আমার জন্য ব্রিটিশ পাসপোর্ট এনেছিলেন। আমরা দক্ষিণ মুম্বইতে থাকতাম এবং আমি বোম্বে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়েছি। যে স্কুলটি আমার বাবা-মা শুরু করেছিলেন। আমার পাসপোর্টের কোথাকার হবে, সেটা কেন কেউ আমাকে ঠিক করে দেবেন যে এটি নিয়ে আমার কী করা উচিত! আমি কোন পাসপোর্ট চাই তা নির্ধারণ করা বিশ্বের একজন নাগরিক হিসেবে আমার নিজের পছন্দ এবং অধিকার।’
নিজের পারিবারিক শিকর প্রসঙ্গে সোনি রাজদান জানিয়েছিলেন, তা'আমার মায়ের পরিবার জার্মানি থেকে এসেছিলেন। তারা পূর্ব বার্লিনে বাস করতেন, হিটলার ক্ষমতায় আসার ঠিক আগে। আমার দাদু কার্ল হোয়েলজার হিটলারের বিরুদ্ধে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড সংবাদপত্র চালাতেন। তিনি ইহুদি ছিলেন না কিন্তু তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছিলেন। তাঁকে বন্দী করা হয় এবং একটি বন্দী শিবিরে রাখা হয়েছিল। তবে তাকে হত্যা করা হয়নি কারণ একমাত্র তিনি খুব ভালো আইনজীবী ছিলেন। অবশেষে, তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু জার্মানি ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল। ততক্ষণে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। তিনি তখন নিজের পরিবারের সঙ্গে ইংল্যান্ডে চলে যান।'