হিন্দি টেলিভিশনের অতি পরিচিত মুখ অমর উপাধ্যায়। তবে দর্শক তাঁকে সবচেয়ে বেশি মনে রেখেছে মিহির ভিরানি হিসাবে। ‘কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি’-র তুলসীর আদর্শ স্বামী হিসাবে দর্শকদের মনে গেঁথে রয়েছেন তিনি। তবে মাঝপথে এই সিরিয়াল ছেড়ে দেন অমর, মুখ বদল হয় চরিত্রের। দর্শক সহজে মেনে নিতে পারেনি সেই পরিবর্তন। মিহিরের অ্যাক্সিডেন্টের ট্র্যাক পর্দায় আসতেই হইচই কাণ্ড। সেই সময় কী ঘটেছিল? অতীতের সেই স্মৃতি হাতড়ালেন অভিনেতা। আরও পড়ুন-‘রাজকে ছোট করতে চাই না…’, শুভশ্রীর স্বামীর ছবির প্রস্তাব কেন ফেরালেন ‘ছোটখাটো অ্য়াক্টর’ দেব?
নতুন শতাব্দীর শুরুর দিকেই হিন্দি টেলিভিশনে আলোড়ল ফেলেছিল একতা কাপুরের ‘কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি’। মিহির-তুলসী জুটিকে চোখে হারাত দর্শক। স্মৃতি ইরানি আর অমর উপাধ্যায়কে রাতারাতি সুপারস্টরের তকমা দিয়েছিল। কিন্তু একগুচ্ছ ছবির অফারের লোভে সিরিয়াল থেকে সরে দাঁড়ান অমর। মৃত্যু ঘটে তাঁর চরিত্রের। ফ্যানেরা এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারেনি। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত কানানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘২৫ জন মহিলা বালাজি টেলিফিল্মসের অফিসের বাইরে জড়ো হয়েছিল। তাঁরা পাথর ছুড়ছিলেন অফিসে, জানালার বেশ কিছু কাচ ভেঙে যায়। সকলর মুখেছিল একটাই রব, কেন ওকে মেরে ফেললেন? কে অধিকার দিয়েছে মিহিরকে মেরে ফেলার?’ এই ঘটনা চমকে দিয়েছিল সকলকে।
তবে মিহিরের চরিত্র নিয়ে এই পাগলামির হদিশ আগেই পেয়েছিলেন তিনি। একবার পরিবারের সঙ্গে তাজ মহল ঘুরতে গিয়েছিলেন অমর। তখন মাস ছয়েক হল কিঁউ কি সাস ভি কভি বহু থি-র সম্প্রচার শুরু হয়েছে। কোনও এক শুক্রবারের সন্ধ্যায় তাজ দর্শনে পৌঁছেছিলেন নায়ক। হাজার হাজার মানুষের ভিড় ছিল ওইদিন। হঠাৎ করেই তাঁকে সেখানে দেখে যেন হাতে 'তাজ' পায় অনুরাগীরা। আগুনের গতিতে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। অমরের কথায়, ‘ভিড়ের ঠেলায় আমি পরিবারের থেকে আলাদা হয়ে যাই। আমাকে চ্যাংদোলা করে এক কোণায় নিয়ে যায়, সিকিউরিটি এসে আমাকে উদ্ধার করে। শেষে দেখলাম, আমার জামাকাপড় ছিঁড়ে গিয়েছে। তাজমহল আর দেখা হল না’।
মিহির ভিরানির সাফল্য ঢেকে দিয়েছে অমরের সুদীর্ঘ অভিনয় কেরিয়ারকে। এরপর বহু হিট প্রোজেক্টের অংশ হলেও মিহির ভিরানির ইমেজ ঝেড়ে ফেলতে পারেননি তিনি। আগামিতে কালার্সের 'দূরি' সিরিয়ালে দেখা যাবে তাঁকে।