প্রাক্তন প্রেমিক তথা প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে নিয়ে কথা বলতে কখনও দ্বিধা বোধ করেন না অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখান্ডে। প্রাক্তন প্রেমিককে নিয়ে প্রায়শই খোলামেলা কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। আপাতত আসন্ন সিনেমা ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকর’-এর প্রোমোশন নিয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী। বিগ বস ১৭-র সময় প্রাক্তন সম্পর্ক নিয়ে একাধিক বার কথা বলতে দেখা গিয়েছিল অঙ্কিতাকে।
বিগ বস ১৭-র ঘরে সুশান্তের নাম ব্যবহারের জন্য দর্শকেরা সমালোচনা করেছিলেন অঙ্কিতার। দাবি করেছিল, গেমে থাকার জন্য এটি করছেন অঙ্কিতা। আসলে 'পবিত্র রিসতা' ধারাবাহিকের মাধ্যমে দর্শকের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন অঙ্কিতা লোখান্ডে ও সুশান্ত সিং রাজপুত। এই সিরিয়ালের সেটেই কাছাকাছি আসেন তাঁরা। অঙ্কিতার জীবনে সুশান্ত না থাকলেও বিভিন্ন সময় পুরনো প্রেম নিয়ে কথা বলতে দেখা যায় অঙ্কিতাকে।
আরও পড়ুন: ‘জানি না আমার মাথায় কী ঢুকেছিল’, আরবাজের সঙ্গে বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন মালাইকা
আরও পড়ুন: ‘রূপঙ্করের নাম ব্যবহার করে জনপ্রিয় হতে চাইছেন’, বিতর্কিত পোস্ট নিয়ে মুখ খুললেন গায়ক-পত্নী চৈতালি
সদ্য জুমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুশান্ত সিং প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ভিকি ঘরণী। অঙ্কিতার সাফ মন্তব্য, সুশান্ত সিং রাজপুত সম্পর্কে কথা বলা থেকে তাকে ‘কেউ আটকাতে পারবে না’। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা আমার জীবন। যদি আমি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে জানি, কারও সম্পর্কে ভালো কিছু আমার জানা থাকে আমি তো সেটা নিয়ে কথা বলতেই পরি। এই ব্যাপারে কেউ আমাকে আটকাতে পারবে না। বাকিটা যাঁর যাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।’
বিগ বসের ঘরে অঙ্কিতা লোখান্ডে তাঁর প্রাক্তন সুশান্ত সিং রাজপুতকে নিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। যার জেরে কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। ভিকি জেইনের মা অর্থাৎ অভিনেত্রীর শাশুড়িও প্রকাশ্যে কটূ কথা শুনিয়েছিলেন।
স্বামী ভিকি জৈনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে যে সমস্ত গুজব রটেছে সেই প্রসঙ্গে অঙ্কিতা বলেছেন, ‘লোকে আমার আর ভিকির সম্পর্ক নিয়ে এখনও প্রশ্ন করেন। আমি কারো কাছে জবাবদিহি করতে পারব না। আমি সত্যিই উত্তর দিতে চাই না। সময় বলে দেবে। মানুষের নিজস্ব বিবেচনা বোধ আছে’।
প্রসঙ্গত, বিগ বস ১৭- এ বর ভিকি জৈনের সঙ্গে অংশ নেন অঙ্কিতা। প্রকাশ্যে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, অশান্তির ঘটনা নিয়ে চর্চায় থেকেছেন তারকা দম্পতি। মণিকর্ণিকা তারকা আরও বলেছেন, ‘শো-এর পর (বিগ বস ১৭) আমার এবং ভিকির বিচ্ছেদের বিষয়ে অনেক কথাই শুনেছি। দেখা যাক। সময় বলে দেবে। আমি মনে করি যদি আমি একজন ব্যক্তির সম্পর্কে কিছু জানি এবং আমি সেই ব্যক্তির সম্পর্কে ভালো জিনিস জানি তবে আমি সর্বদা তা উচ্চস্বরে বলব। আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না’।