ইদের ঠিক আগের দিন সন্ধ্যায় বাজার কাঁপাতে হাজির হয় অক্ষয়-টাইগার জুটি। সমালোচকদের মন সেভাবে ভেজাতে না পারলেও বক্স অফিসে ছক্কা হাঁকাচ্ছে বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ। বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে মাত্র চার দিনেই সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় এই ছবি। অক্ষয় কুমার, টাইগার শ্রফ, মানুষী চিল্লার এবং আলায়া এফ অভিনীত এই ছবি ইতিমধ্যেই ৯৬.১৬ কোটি টাকার গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলেছে। আরও পড়ুন-অক্ষয়ের বড়ে মিঁয়া ছোটে মিঁয়ার কাছে ২-০ পিছিয়ে অজয়! ২য় দিনে মাত্র ২.৭২ কোটিতে আটকে গেল ময়দান
আলি আব্বাস জাফরের বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ তিন দিনে ৭৬.০১ কোটি রুপি আয় করেছিল। চার নম্বর দিন এই তালিকায় জুড়েছে আরও ২০.১৫ কোটি টাকা। সুতরাং সোমবার ভারতীয় বক্স অফিসের কালেকশন মেলালে নিশ্চিতভাবেই এতক্ষণে ১০০ কোটি টাকার গণ্ডি পার করে ফেলেছে এই ছবি।
বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ বক্স অফিস নম্বর
প্রযোজক জ্যাকি ভাগনানি এক্স-এ একটি পোস্টার টুইট করেছেন, যেখানে বলা হয়েছে যে ছবিটি চার দিনে বিশ্বব্যাপী ৯৬.১৬ কোটি টাকা আয় করেছে, যার মধ্যে পেইড প্রিমিয়ার এবং বিশ্ব বক্স অফিসের কালেকশন যুক্ত রয়েছে। তিনি লেখেন, 'বড়ে মিয়াঁ ছোটে মিয়াঁ সবার হৃদয়ে এবং বক্স অফিসে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। প্রথমদিন নির্মাতারা বলেছিলেন যে এটি বিশ্বব্যাপী বক্স অফিসে ৩৬.৩৩ কোটি টাকা আয় করেছে এবং দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৫.১৪ কোটি টাকা আয় করেছে।
ময়দানের বিশ্ব বক্স অফিস কালেকশন
ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগের প্রেক্ষাপটে তৈরি ছবি অজয় দেবগণের ময়দান। এই ছবির বিশ্ব বাজারে সীমিত সংখ্যক দেশেই মুক্তি পেয়েছে। রবিবার পর্যন্ত বিশ্ব বক্স অফিসে এই ছবি মোট আয় করেছে ৩২ কোটি টাকা। যার মধ্যে ২২ কোটি এসেছে ভারত থেকে। সুতরাং অসম লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে অজয় দেবগণ।
বড়ে মিঁয়া ছোটে মিঁয়া প্রসঙ্গে
এই ছবিতে অক্ষয় কুমার, টাইগার শ্রফের পাশাপাশি দেখা মিলেছে সোনাক্ষী সিনহা, মানুষী চিল্লার এবং আলায়া এফের। সিনেমাটিতে পৃথ্বীরাজ সুকুমারনও একটি আকর্ষণীয় খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন বাসু ভাগনানি, দীপশিখা দেশমুখ, জ্যাকি ভাগনানি, হিমাংশু কিষাণ মেহরা এবং আলি আব্বাস জাফর। মুম্বাই, লন্ডন, আবুধাবি, স্কটল্যান্ড এবং জর্ডানের মতো লোকেশনগুলিতে শ্যুট করা এই প্যান-ইন্ডিয়া ছবি প্রশংসা কুড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মানের অ্যাকশন দৃশ্য পর্দায় তুলে ধরার জন্য।
বড়ে মিঁয়া ছোটে মিঁয়া রিভিউ
হিন্দুস্তান টাইমসের রিভিউতে এই ছবি নিয়ে লেখা হয়েছে, ‘যাদের অ্যাকশন ছবির প্রতি ঝোঁক, তাঁদের জন্য বিএমসিএম অবশ্যই ওয়ান টাইম ওয়াচ। অন্য কিছু না হলেও, অক্ষয় এবং টাইগারের অনস্ক্রিন রসায়ন তথা ব্রোম্যান্স বেশ চিত্তাকর্ষক’।